চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে- জানুন AI প্রযুক্তির রহস্য
চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে বর্তমানে এটা নিয়ে সকলেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। চ্যাটজিপিটি এমন এক চমৎকার প্রযুক্তি যা মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। কিন্তু কীভাবে এটি এত বুদ্ধিমানের মতো কাজ করে তা কি ভেবে দেখেছেন? আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাব।

পেজ সূচিপত্রঃ চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
- চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
- চ্যাট জিপিটি কিভাবে ব্যবহার করব
- চ্যাট জিপিটি দিয়ে কি ধরনের কাজ করা সম্ভব
- চ্যাটজিপিটি কী- সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
- GPT মডেলের ইতিহাস ও উৎপত্তি
- চ্যাট জিপিটি কোন দেশের
- চ্যাট জিপিটি সুবিধা
- কোন অ্যাপ ব্যবহারের জন্য চ্যাট জিপিটি প্লাস প্রয়োজন হয়
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- AI-এর সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা
- লেখক এর মন্তব্যঃ চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে
চান। চ্যাটজিপিটি হলো একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট, যেটি
মানুষের মতো করে কথা বলে এবং নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এটি ইন্টারনেটে থাকা
লাখ লাখ লেখা থেকে শেখে কীভাবে মানুষ কথা বলে বা লিখে। আপনি যখন কোনো প্রশ্ন
করেন, তখন এটি তার শেখা তথ্য ব্যবহার করে আপনার প্রশ্নের সেরা উত্তর বের করে আনে।
এটি বুঝতে চেষ্টা করে আপনি কী জানতে চাইছেন এবং তা কীভাবে সহজভাবে উত্তর দেওয়া
যায়। এক কথায় চ্যাটজিপিটি হলো আপনার ডিজিটাল সহকারী। চ্যাট জিপিটি কিভাবে
কাজ করে তা নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো-
- চ্যাটজিপিটি লক্ষ লক্ষ বই, ওয়েবসাইট, আর্টিকেল, ব্লগ, প্রশ্নোত্তর ফোরাম ইত্যাদি থেকে ডেটা সংগ্রহ করে। এসব পড়ে এটি শেখে যে মানুষ কীভাবে কথা বলে, প্রশ্ন করে, উত্তর দেয়।
- এটি একধরনের মেশিন লার্নিং পদ্ধতিতে শেখে, যেটাতে কম্পিউটারকে অনেক ডেটা দেখিয়ে শেখানো হয় কীভাবে কোন কাজ করতে হয়। একে বলা হয় Pre-training ও Fine-tuning।
- আপনি যখন কোনো প্রশ্ন করেন তখন চ্যাটজিপিটি প্রথমে তা বিশ্লেষণ করে বুঝে নেয় আপনি আসলে কী জানতে চাচ্ছেন। এটি শব্দ, বাক্য এবং প্রশ্নের ধরন দেখে বিষয়টা ধরতে চেষ্টা করে।
- প্রশ্ন বুঝে গেলে, এটি তার বিশাল মেমোরি (ডেটাবেজ) থেকে সবচেয়ে মানানসই উত্তর তৈরি করে। এটি কোনো ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করে না, বরং নিজে গঠন করে।
- চ্যাটজিপিটি চেষ্টা করে এমনভাবে উত্তর দিতে যেন মনে হয় একজন মানুষই কথা বলছে। এর ভাষা সাধারণ, বুঝতে সহজ এবং অনেক সময় বাস্তব উদাহরণসহ উত্তর দেয়।
চ্যাট জিপিটি কিভাবে ব্যবহার করব
চ্যাট জিপিটি কিভাবে ব্যবহার করব সেটা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। চ্যাট
জিপিটি ব্যবহার করতে হলে আপনার আগে বুঝতে হবে এটা একটা ওয়েবসাইট। যেখানে আপনি
গিয়ে প্রশ্ন করলে এটা উত্তর দেয়। আপনি যেভাবে ফেসবুকে মেসেঞ্জারে কারও সাথে কথা
বলেন, ঠিক সেইরকমভাবেই চ্যাটজিপিটির সাথে আপনি চ্যাট করতে পারবেন। নিচে ধাপে ধাপে
বলে দিচ্ছি কীভাবে ব্যবহার করবেন-
-
আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে যেকোনো ইন্টারনেট ব্রাউজার (যেমনঃ Chrome) খুলে
সার্চ করুন
chat.openai.com
। এই লিংকটাই চ্যাটজিপিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। - ওয়েবসাইটে গেলে Sign Up বা Log In বোতাম দেখবেন। যদি নতুন হন, তাহলে Sign Up এ ক্লিক করে নিজের ইমেইল বা গুগল একাউন্ট দিয়ে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করুন। একবার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে আপনি সহজে Log In করতে পারবেন।
- একবার Log In করলে আপনি একটা চ্যাটবক্স দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি লিখে বা কথা বলে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেন। আপনি যা জিজ্ঞেস করবেন চ্যাটজিপিটি তার ভাষা ও জ্ঞান দিয়ে সহজভাবে আপনার ভাষায় উত্তর তৈরি করে দেবে।
- যদি আপনি বাংলায় লিখেন, উত্তর বাংলাতেই পাবেন। আর ইংরেজিতে লিখলে ইংরেজিতে উত্তর দেবে। তাই যে ভাষায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটাই ব্যবহার করুন।
- চ্যাটজিপিটি অনেক সময় ভুলও করতে পারে, তাই আপনি যদি সন্তুষ্ট না হন, প্রশ্নটা একটু ভিন্নভাবে করে আবার জিজ্ঞেস করুন। যেমনঃ আরও সহজ করে বোঝাও বা একটা উদাহরণ দাও ইত্যাদি বললে আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করবে।
চ্যাট জিপিটি দিয়ে কি ধরনের কাজ করা সম্ভব
চ্যাটজিপিটি হলো এমন একটা সফটওয়্যার যা মানুষের মতো কথা বলতে পারে এবং নানা কাজ করতে পারে। আপনি চাইলে এতে প্রশ্ন করতে পারেন, লিখিত কাজ করাতে পারেন, কিংবা সাহায্য চাইতে পারেন যে কোনো আইটি বা সাধারণ কাজে। এটি শুধু তথ্য দেয় না, বরং আপনার সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে এবং কাজ সহজ করে দিচ্ছে। এখন অনেকেই চ্যাটজিপিটিকে তাদের ডিজিটাল সহকারী হিসেবে ব্যবহার করছে। নিচে এর কিছু প্রধান কাজের উদাহরণ দেওয়া হলো।
- নতুন নতুন লেখা বা ভিডিও আইডিয়ার জন্য চ্যাটজিপিটি থেকে সাহায্য নিতে পারেন। এটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় শিরোনামও সাজিয়ে দেয়।
-
আপনি যদি কোন স্কুল প্রজেক্ট এর জন্য রচনা লিখতে চান তাহলে এই সফটওয়্যার
ব্যবহার করে আপনি সহজে কাঙ্ক্ষিত রচনা তৈরি করতে পারেন।
-
প্রোগ্রামিং হলো বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা। এই পেশার জন্য
বিভিন্ন সময় কোড লেখার প্রয়োজন হয়। চ্যাট জিপিটি ব্যবহার
করে শুধুমাত্র আপনি নির্দেশনা দেওয়ার মাধ্যমে কোড লিখিয়ে
নিতে পারবেন। এছাড়াও কোন কোড ইরোর থাকলে তা সংশোধন করে নিতে পারবেন।
- চ্যাট জিপিটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন শুধুমাত্র প্রয়োজন এর সঠিকভাবে ইনস্ট্রাকশন দেওয়া। তাহলেই আপনার কঠিন কাজ সহজ হয়ে যাবে।
- আপনি যদি কোন চাকরির জন্য সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করতে চান তাহলে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি দৃষ্টিনন্দন এবং সুন্দর সিভি তৈরি করতে পারেন।
-
এক্সেল শীট বা বিভিন্ন ফর্মুলা তৈরি করার জন্য এই সফটওয়্যারটি খুবই
কার্যকরী।
-
অনলাইনে ই-বুক সামারী লেখার জন্য অথবা আপনার নিজের বইয়ের সামারি লেখার জন্য
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনি কোনো বিষয় নিয়ে আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লিখতে চাইলে, চ্যাটজিপিটি আপনার জন্য সহজে ও দ্রুত লিখে দিতে পারে। এই সফটওয়্যারটি মোটামুটি নতুন বা বেসিক লেভেলের যারা আর্টিকেল রাইটার আছে তাদের মত লিখে দিতে পারে।
-
আপনি যদি কোন কবিতা মুভি বা শর্ট ফিল্মের স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনি
সঠিক তথ্য প্রদান করে এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে খুবই উন্নত মানের স্ক্রিপ্ট
তৈরি করতে পারেন।
- বাংলা থেকে ইংরেজি কিংবা অন্য ভাষায় সহজ অনুবাদ করার কাজেও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করা যায়।
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কনটেন্ট লেখা, SEO, ডিজিটাল মার্কেটিং ও অন্যান্য কাজের জন্য এটি খুবই কার্যকর।
চ্যাটজিপিটি কী- সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
চ্যাটজিপিটি হলো একটা কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা মানুষের মতো কথা বলতে এবং বুঝতে
পারে। এটা এমন একটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) যা আমরা যখন কোনো প্রশ্ন করি বা
কোনো কথা বলি, তখন সেটার মানে বুঝে সঠিক উত্তর দেয় বা সাহায্য করে। এটা কোনো
মানুষ না হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের মতোই কথাবার্তা চালাতে পারে। আপনি চাইলে
এর সাহায্যে লিখিত কাজ করাতে পারেন।
যেমন লেখালেখি, ইমেইল লেখা, গল্প তৈরি, কিংবা নতুন কিছু শেখার জন্য জটিল বিষয়
সহজ ভাষায় বুঝতে চাইলে চ্যাটজিপিটি সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার বন্ধু বা
সহকারী হিসেবে কাজ করে, যা সব সময় আপনার পাশে থেকে প্রয়োজন মতো সাহায্য দেয়।
তাই অনেকেই এখন চ্যাটজিপিটিকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজে, পড়াশোনা থেকে শুরু
করে অফিসের কাজ পর্যন্ত ব্যবহার করছেন।
GPT মডেলের ইতিহাস ও উৎপত্তি
GPT হলো একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল। যা OpenAI নামের একটি কোম্পানি তৈরি
করেছে। GPT এর পূর্ণরূপ “Generative Pre-trained Transformer”। এটি প্রথম তৈরি
হয় মানুষের ভাষা বুঝতে এবং লেখার কাজ সহজ করার জন্য। ২০১৮ সালে প্রথম GPT মডেল
প্রকাশিত হয়, যা সময়ের সাথে সাথে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী হয়। GPT মডেলগুলোর
মূল কাজ হলো বড় বড় লেখা বুঝে নতুন লেখা তৈরি করা, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, গল্প
লেখা, অথবা যেকোনো ভাষাগত কাজ করা।
মূলত এটি হাজার হাজার বই, ওয়েবসাইট, আর বিভিন্ন লেখা থেকে শেখে এবং তারপর
মানুষের মতো স্বাভাবিক ভাষায় কথা বলতে বা লিখতে পারে। সময়ের সাথে GPT মডেল আরও
স্মার্ট হয়েছে, তাই এখন এটি অনেক জটিল কাজও করতে পারে। এখন GPT আমাদের দৈনন্দিন
জীবনে যেমন লেখালেখি, তথ্য খোঁজা, শিক্ষাদানে, কিংবা ব্যবসার কাজে ব্যাপক
সাহায্য করছে।
চ্যাট জিপিটি কোন দেশের
চ্যাটজিপিটি তৈরি করেছে একটি আমেরিকান কোম্পানি যার নাম OpenAI। এই কোম্পানিটি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI নিয়ে কাজ করে। তাদের লক্ষ্য ছিল মানুষের মতো
চিন্তা-ভাবনা এবং ভাষা বুঝতে সক্ষম একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করা, যা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে সাহায্য করবে। ২০১৫ সালে OpenAI প্রতিষ্ঠা
পায়, আর কয়েক বছর পর তারা GPT নামের মডেল তৈরি শুরু করে।
যেটা এক ধাপে চ্যাটজিপিটির মতো শক্তিশালী প্রযুক্তিতে রূপ নেয়। চ্যাটজিপিটি
মূলত কম্পিউটারের জন্য এমন এক ধরনের মস্তিষ্ক যা হাজার হাজার বই, ওয়েবসাইট, আর
বিভিন্ন লেখা থেকে শেখে এবং মানুষের মতো কথা বলতে পারে। এই প্রযুক্তি আমেরিকায়
তৈরি হলেও, এখন এটি সারা বিশ্বে ব্যবহার হচ্ছে। তাই এটা বলতে পারেন,
চ্যাটজিপিটির জন্ম আমেরিকায় হলেও এর ব্যবহার আর উপকার আমরা সবাই পেয়ে থাকি।
চ্যাট জিপিটি সুবিধা
চ্যাটজিপিটি আমাদের জীবনে অনেক ধরনের সুবিধা নিয়ে এসেছে যা আগে সম্ভব ছিল না।
এটা এমন একটি ডিজিটাল টুল যা আপনার সময় ও পরিশ্রম দুইই বাঁচায়। ধরুন, আপনি যদি
কোনো লেখা করতে চান, প্রশ্নের উত্তর জানতে চান বা কোনো জটিল বিষয় সহজে বুঝতে
চান, তখন চ্যাটজিপিটি আপনাকে দ্রুত সাহায্য করবে। এর সাহায্যে আপনি সহজেই ভালো
মানের আর্টিকেল, ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট বা এমনকি কোডিংও করতে
পারেন।
এছাড়া এটি আপনার পড়াশোনা বা নতুন কিছু শেখার কাজকে অনেক সহজ করে দেয়। আর সবচেয়ে
বড় কথা, চ্যাটজিপিটি সব সময় আপনার সঙ্গে থাকে, ২৪ ঘণ্টা যখন খুশি, আপনি এর সাথে
কথা বলতে পারেন এবং যেকোনো সময় সাহায্য নিতে পারেন। তাই এটি শুধু একটা
সফটওয়্যার নয় বরং আপনার দৈনন্দিন জীবনের একজন স্মার্ট সহকারী। যেকোনো কাজ দ্রুত
ও ভালো মানে করতে চাইলে চ্যাটজিপিটি একদম পারফেক্ট সঙ্গী হতে পারে।
কোন অ্যাপ ব্যবহারের জন্য চ্যাট জিপিটি প্লাস প্রয়োজন হয়
চ্যাটজিপিটির ফ্রি ভার্সন দিয়ে অনেক কাজ করা গেলেও, কিছু বিশেষ সুবিধা পেতে হলে
আপনাকে ChatGPT Plus সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়। এই প্লাস ভার্সন ব্যবহার করলে আপনি
GPT-4 মডেল ব্যবহার করতে পারবেন, যেটা আগের ভার্সনের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট,
দ্রুত এবং উন্নত। কিছু অ্যাপ বা ফিচার যেমন কোড লেখার টুল, ছবি বিশ্লেষণ,
ডকুমেন্ট পড়া, কিংবা অ্যাডভান্সড কনটেন্ট জেনারেশন এইসব সুবিধা সাধারণত GPT-4
বা প্লাস ইউজারদের জন্য রাখা হয়।
যেমন আপনি যদি চ্যাটজিপিটির ডেক্সটপ বা মোবাইল অ্যাপে এসব অ্যাডভান্সড ফিচার
যেমন- ডাটা বিশ্লেষণ, কাস্টম জিপিটি, বা কোড ইন্টারপ্রিটার (Code
Interpreter)
ব্যবহার করতে চান তাহলে ChatGPT Plus নিতে হবে। এছাড়া ফ্রি ভার্সনে অনেক সময়
লোড বেশি থাকলে চ্যাটজিপিটি কাজ না করলেও প্লাস ইউজাররা সেই সময়েও সহজে
অ্যাক্সেস পায়। তাই যারা নিয়মিত বা প্রফেশনাল কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেন
তাদের জন্য প্লাস ভার্সন অনেক বেশি সুবিধাজনক।
চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করার সময় কিছু ছোট ছোট টিপস মেনে চললে আপনি আরও ভালোভাবে
এর সুবিধা নিতে পারবেন। প্রথমত, আপনি যদি পরিষ্কারভাবে ও সহজ ভাষায় প্রশ্ন করেন
তাহলে চ্যাটজিপিটি সহজে বুঝতে পারবে এবং ভালো উত্তর দিতে পারবে। একসাথে অনেক
কিছু জিজ্ঞেস না করে ধাপে ধাপে প্রশ্ন করা ভালো এতে উত্তর আরও নির্ভুল হয়।
দ্বিতীয়ত, আপনি যদি চান নির্দিষ্ট কোনো ধরনে লেখা (যেমন- ব্লগ, গল্প, চিঠি)
তৈরি করতে।
তাহলে সেটা আগে থেকেই স্পষ্ট করে বলা ভালো যেমন একটা ছোট গল্প লিখে দাও, সহজ
ভাষায়। তৃতীয়ত, চ্যাটজিপিটি যেহেতু মানুষ না, তাই সব সময় এর উত্তর একদম নিখুঁত
হবে এমন নয়, তাই নিজের মতো করে যাচাই করা ভালো। আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো
আপনার ব্যক্তিগত বা গোপন তথ্য কখনোই এতে শেয়ার করা উচিত নয়। সবশেষে,
চ্যাটজিপিটিকে আপনি যত ভালো করে নির্দেশনা দিবেন, তত ভালো রেজাল্ট পাবেন। একে
বন্ধু ভেবে ব্যবহার করলে, এটি আপনার অনেক কাজ সহজ করে দেবে।
AI-এর সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাবনা
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনে অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে, তবে এর কিছু
সীমাবদ্ধতাও আছে। এর সম্ভাবনার দিক থেকে বললে AI আমাদের লেখালেখি, হিসাব, ছবি
বিশ্লেষণ, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক সাহায্য করছে।
এটি দ্রুত কাজ করতে পারে, ভুল কম করে এবং আমাদের সময় বাঁচায়। কিন্তু
সীমাবদ্ধতার দিক থেকে দেখতে গেলে AI এখনো মানুষের মতো আবেগ বা বাস্তব
অভিজ্ঞতা বুঝতে পারে না।
অনেক সময় এটা ভুল তথ্য দিতে পারে বা সঠিক প্রসঙ্গ না বুঝে ভিন্ন কিছু বলতেও
পারে। এছাড়া যদি ভুলভাবে ব্যবহার করা হয় তাহলে AI দ্বারা ভুয়া তথ্য ছড়ানো,
চাকরি হ্রাস, বা গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তাই AI যেমন আমাদের জীবন সহজ
করছে তেমনি সচেতনভাবে ব্যবহার না করলে সমস্যাও তৈরি করতে পারে। আমাদের উচিত
AI-কে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা, তবে সবসময় যাচাই করে এবং নিজের মত বুদ্ধি
খাটিয়ে।
লেখক এর মন্তব্যঃ চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। চ্যাটজিপিটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি যা আমাদের কাজকে সহজ ও
দ্রুত করে তুলেছে। এটি মানুষের ভাষা বুঝে উত্তর দিতে পারে, যা একে আরও
ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। লেখালেখি, প্রশ্নোত্তর, শেখা কিংবা আইটি সহায়তায় এটি
সত্যিই দারুন একটি টুল।
তবে এর সঠিক ব্যবহার জানা খুব জরুরি, না হলে ভুল তথ্য পেতে পারেন, যার ফলে আপনি
বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। সচেতনভাবে ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটি হতে
পারে আপনার ডিজিটাল জীবনের বিশ্বস্ত সহকারী। আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে
ওয়েবসাইট টি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url