সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ চলছে- বিদেশে চাকরি ২০২৫

                     

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন।আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানাবো সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য বিস্তারিত সকল তথ্য। যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সরকারিভাবে বিদেশ গমন করতে পারবেন।

সরকারিভাবে-বিদেশ-যাওয়ার-নিয়োগসরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে, যেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার মাধ্যমে আপনি দালাল ছাড়াই বিভিন্ন দেশে কাজের জন্য যেতে পারবেন। তাই অবশ্যই বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে সকলেই জানতে চান। বর্তমান সময়ে দেশের অনেক তরুণ-তরুণী, অভিজ্ঞ ও নতুন কর্মজীবী মানুষ বিদেশে চাকরি করতে আগ্রহী। কারণ বিদেশে চাকরি করলে ভালো বেতন, জীবনমানের উন্নতি এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকেই যথাযথ তথ্য না জানার কারণে প্রতারক দালালের খপ্পরে পড়েন। অনেকেই অপ্রতিষ্ঠিত এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন, যা পরে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার নিয়োগ ব্যবস্থা বর্তমানে সবচেয়ে নিরাপদ, স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য উপায় হিসেবে বিবেচিত।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো BOESL (Overseas Employment and Services Limited) এবং BMET (Bureau of Manpower, Employment and Training)। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের বিদেশে চাকরির সুযোগ করে দেয়। সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার প্রধান সুবিধা হলো চাকরির নিরাপত্তা, নির্ধারিত বেতন, আবাসন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং কোনো প্রকার অতিরিক্ত খরচের ঝুঁকি থাকে না।

BOESL ও BMET সাধারণত তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেমনঃ www.bosel.gov.bd ও www.bmet.gov.bd। এখানে দেশের বিভিন্ন পেশার জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। যেমনঃ সৌদি আরব, কাতার, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইত্যাদি। কেউ যদি এসব বিজ্ঞপ্তি দেখে নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী আবেদন করেন, তাহলে একদম স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের সুযোগ পান। আবেদন প্রক্রিয়ায় সাধারণত অনলাইন ফর্ম পূরণ, কাগজপত্র জমা দেওয়া, সাক্ষাৎকার ও মেডিকেল পরীক্ষার মতো ধাপ থাকে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারিভাবে বিদেশে গেলে প্রতারণার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এছাড়া কোনো ধরনের অতিরিক্ত দালাল ফি বা ভিসা খরচ নেওয়া হয় না। ফলে এটি স্বল্প খরচে কর্মসংস্থানের একটি বাস্তব সুযোগ। অনেক সময় বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারের ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়, যা প্রবাস জীবনে কাজে লাগে।

তাই যারা সত্যিই নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে বিদেশে কাজ করতে চান, তাদের জন্য সরকারিভাবে নিয়োগের এই পথটি সবচেয়ে ভালো। শুধু প্রয়োজন সঠিক তথ্য জানা, নিয়ম মেনে আবেদন করা এবং ধৈর্য ধরে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করা। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই এই বিষয়ে প্রচার করা হয়। তবে আমাদের ব্যক্তিগত সচেতনতাও খুব জরুরি।

BOESL ও BMET এর মাধ্যমে বিদেশে চাকরির সুযোগ

বিদেশে নিরাপদ ও বৈধভাবে চাকরি করতে চাইলে BOESL (ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) এবং BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এর মাধ্যমে আবেদন করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এই দুটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি বিদেশি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে থাকে। এখানে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটি সরকারি তত্ত্বাবধানে হয়।

আরো পড়ুনঃ দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত- আপডেট তথ্য ২০২৫

যেসব দেশ বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করে যেমনঃ সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি। সেসব দেশের জন্য নিয়মিতভাবে BOESL ও BMET এর ওয়েবসাইটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন প্রক্রিয়া সাধারণত সহজ। অনলাইনে ফর্ম পূরণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সাক্ষাৎকার ও মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এই মাধ্যমে চাকরি পেলে কর্মীদের জন্য নির্ধারিত বেতন, আবাসন, খাবার এবং চিকিৎসা সুবিধা থাকে। তাই যারা সত্যিই নিরাপদ উপায়ে বিদেশে কাজ করতে চান, তাদের জন্য BOESL ও BMET-এর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া একটি বিশ্বস্ত ও স্থিতিশীল পথ।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিবন্ধন ২০২৫

২০২৫ সালে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগের চেয়ে আরও সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে। যারা বৈধভাবে ও নিরাপদভাবে বিদেশে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং)-এর মাধ্যমে নিবন্ধন করাই প্রথম ধাপ। BMET-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে (www.bmet.gov.bd) সহজভাবে অনলাইনে নিবন্ধন করা যায়। নিবন্ধনের সময় আবেদনকারীর নাম, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও কাঙ্ক্ষিত পেশা সম্পর্কিত তথ্য দিতে হয়। 

একবার নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তা BOESL সহ অন্যান্য সরকারি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেসে যুক্ত হয়, যেখান থেকে তারা উপযুক্ত প্রার্থীদের নির্বাচন করে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কেউ যদি সরকারি নিয়োগে বিদেশে যেতে চান, তাহলে তার জন্য এটি একটি বাধ্যতামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সবচেয়ে বড় কথা, এই নিবন্ধন করতে কোনো দালাল বা অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন নেই। নিজে আবেদন করলেই চলে। তাই ২০২৫ সালে সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নিতে চাইলে এখনই নিজে নিজে অনলাইনে নিবন্ধন করুন এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যান।

অনলাইনে বিদেশে চাকরির আবেদন

বর্তমানে অনলাইনে বিদেশে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়েছে। যারা বিদেশে কাজ করতে চান, তাদের জন্য সরকারি ওয়েবসাইট যেমন BOESL (ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) এবং BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এর মাধ্যমে আবেদন করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। প্রথমে এসব প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমনঃ নাম, জন্ম তারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা অনলাইনে পূরণ করতে হয়। 

এরপর, নির্দিষ্ট পেশার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করা যায়। এটি একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ প্রক্রিয়া।  যেখানে কোনো দালাল বা অতিরিক্ত ফি নেই। আবেদন করার পর, নির্বাচিত প্রার্থীরা ইন্টারভিউ ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ডাক পান। এই প্রক্রিয়া মেনে চলে নিরাপদভাবে বিদেশে কাজের সুযোগ পেতে পারেন। সরকারের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে বিদেশে চাকরি পাওয়া আরও সহজ ও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাই যারা বিদেশে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য এই পদ্ধতিই সবচেয়ে সঠিক ও কার্যকর।

২০২৫ সালের জন্য কোন কোন দেশের নিয়োগ চলছে

২০২৫ সালে বিদেশে কাজের সুযোগ আগের বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকরা সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে চাকরি করার সুযোগ পাচ্ছেন। BOESL এবং BMET এর মাধ্যমে যে সকল দেশে নিয়োগ চলছে, সেগুলো হল সবচেয়ে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য। এই সুযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পেশায় কর্মী নিয়োগ করা হবে। যেমন নির্মাণ শ্রমিক, স্বাস্থ্যকর্মী, টেকনিশিয়ান, সেবিকা, ড্রাইভার ইত্যাদি। যারা বিদেশে চাকরি করতে চান, তাদের জন্য ২০২৫ সাল খুবই সুবিধাজনক হতে যাচ্ছে। নিচে কিছু দেশ তুলে ধরা হলো, যেখানে ২০২৫ সালে সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

  • সৌদি আরবঃ এই দেশে বর্তমানে নির্মাণ ও টেকনিক্যাল কাজের জন্য নিয়োগ চলছে। তার পাশাপাশি চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য সহকারীরও নিয়োগ চলছে।
  • কাতারঃ এই দেশে বর্তমানে নির্মাণ, ড্রাইভিং এবং নিরাপত্তা সেবায় নিয়োগ চলছে। তার পাশাপাশি বিভিন্ন অফিস সহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ চলমান রয়েছে।
  • সংযুক্ত আরব আমিরাতঃ রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং নির্মাণ শিল্পে বর্তমানে নিয়োগ চলছে। তারসাথে সেবিকা, ক্লিনার, ওয়েটার এবং সেলসম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
  • জাপানঃ বর্তমানে এই দেশে প্রযুক্তি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের জন্য নিয়োগ রয়েছে। তার সাথে কৃষি ও নির্মাণ কাজের জন্য চাকরি সুযোগ রয়েছে।
  • দক্ষিণ কোরিয়াঃ এই দেশে বর্তমানে কৃষি ও নির্মাণ শিল্পের এবং ফ্যাক্টরি কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ চলমান রয়েছে।
  • মালয়েশিয়াঃ এই দেশে গৃহকর্মী, গার্মেন্টস শ্রমিক, নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ চলমান রয়েছে।
  • ভিয়েতনামঃ এখানে বিভিন্ন শিল্প খাতে নিয়োগ চলছে।

বিদেশে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা

বিদেশে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন। যা জানলে প্রক্রিয়াটি আরও সহজ হবে। প্রথমত, আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়স সাধারণত ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে (কিছু দেশ ও পেশার ক্ষেত্রে বয়সের সীমা একটু ভিন্ন হতে পারে)। এছাড়া, প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে কমপক্ষে যেকোনো মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের (এটি দেশভেদে পরিবর্তিত হতে পারে)। 

তবে, কিছু পেশার জন্য বিশেষ যোগ্যতা যেমনঃ টেকনিক্যাল স্কিল, ভাষা দক্ষতা (যেমন ইংরেজি, আরবি, কোরিয়ান ইত্যাদি) বা সিলেবাসের ওপর নির্ভর করে আবেদনকারীর আরও উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন হতে পারে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রার্থীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা। বিদেশে কাজ করতে হলে সাধারণত মেডিকেল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যেখানে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যমানদণ্ড পূরণ করতে হবে। ফিজিক্যাল ফিটনেস ও স্বাস্থ্যবিধি ঠিক থাকলে চাকরির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া আবেদনকারীর পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে টেকনিক্যাল বা নির্মাণ, মেডিকেল, নিরাপত্তা সেবাসহ অন্যান্য বিভিন্ন পেশায়। সরকারি চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হয়। যেখানে প্রার্থীকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হয়। আবেদনপত্রটি জমা দেওয়ার পর নির্বাচনের জন্য ইন্টারভিউ ও মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এসব প্রয়োজনীয়তা পূরণ করলে প্রার্থীরা বৈধভাবে বিদেশে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

সরকারি নিয়োগে আবেদন করার ধাপসমূহ

সরকারি নিয়োগে আবেদন করার ধাপসমূহ খুবই সহজ এবং সোজা। বিদেশে সরকারি চাকরি পেতে গেলে সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি BOESL (ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) বা BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এর মাধ্যমে আবেদন করতে চান, তাহলে আপনাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এই ধাপগুলো সহজেই সম্পন্ন করা যায়, তবে সঠিকভাবে অনুসরণ করা উচিত, যাতে কোনো সমস্যা না হয়। নিচে সরকারি নিয়োগে আবেদন করার ধাপগুলো দেওয়া হলোঃ

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে কত টাকা খরচ হয়

সরকারিভাবে বিদেশ যেতে খরচ বিভিন্ন সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু সাধারণত বেশিরভাগ সময় এটি অনেকটাই স্বচ্ছ এবং নির্ধারিত। বিদেশে কাজের জন্য BOESL (ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) ও BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এর মাধ্যমে আবেদন করলে মূল খরচগুলো বেশিরভাগ সময় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত থাকে।

প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন ফি, মেডিকেল পরীক্ষা, এবং পাসপোর্ট তৈরির জন্য কিছু টাকা খরচ হতে পারে। এরপর ভিসা ফি, ভ্রমণ খরচ, এবং কাজের অনুমতি ও অন্যান্য প্রশাসনিক খরচের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা লাগবে। এই খরচগুলো সাধারণত ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা এর মধ্যে হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করে কোন দেশ এবং কোন পেশার জন্য আবেদন করছেন তার ওপর। বিদেশে যাওয়ার খরচের পুরো প্রক্রিয়া তেমন কোনো গোপন খরচ ছাড়াই সম্পন্ন হয়। কারণ সরকারি এজেন্সিগুলি কোনো অতিরিক্ত বা লুকানো ফি আদায় করে না।

তবে খরচের বিষয়টি আগে থেকে জেনে নেয়া এবং বাজেট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে আপনি পরবর্তী সময়ে কোনো সমস্যায়  না পড়েন। সর্বোপরি, সরকারি মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং প্রক্রিয়াটি অনেক নিরাপদ। একবার আপনাকে নির্ধারিত খরচ ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সব তথ্য জানিয়ে দেওয়া হলে আপনি সহজেই পরিকল্পনা করে বিদেশে কাজের সুযোগ নিতে পারেন।

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি হল এমন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, যারা সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিদেশে কাজের জন্য শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এই এজেন্সিগুলি BOESL (ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) এবং BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এর আওতায় কাজ করে, যা সম্পূর্ণ সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। সরকারিভাবে বিদেশ যেতে গেলে এসব এজেন্সির মাধ্যমে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, যা আরও নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত। 

এই এজেন্সিগুলি বিদেশে কাজের জন্য আপনাকে নিবন্ধন, মেডিকেল চেকআপ, ভিসা প্রক্রিয়া, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজের জন্য সাহায্য করে থাকে। সঠিক এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে, আপনি দালালদের হাত থেকে নিরাপদে থাকতে পারবেন এবং নিশ্চিতভাবে বৈধভাবে বিদেশে কাজের সুযোগ পাবেন। এর পাশাপাশি আরো কিছু বিশ্ব এজেন্সির নাম নিচে দেওয়া হল।
  • মাহবুর ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি। ঠিকানাঃ ডি.আই.টি রোড, ৪৭৬/বি গ্রাউন্ড ফ্লোর ঢাকা।
  • এম পি ট্রাভেলস লিমিটেড। ঠিকানাঃ শাপলা ভবন, চতুর্থ তলা, সাইট নাম্বার ৫০২-৫০৪, মতিঝিল ঢাকা।
  • কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি। ঠিকানাঃ কাজী টাওয়ার, দ্বিতীয় তলা, ভিআইপি রোড, নয়াপল্টন/ঢাকা।
  • ডায়মন্ড ট্রাভেলস। ঠিকানাঃ কমলাপুর বাজার রোড, ৩৫/৪ মতিঝিল সি এ ঢাকা।
  • বি এম এস ট্রাভেলস। ঠিকানাঃ নোয়াখালী টাওয়ার, তৃতীয় তলা, ৫৫/বি পূরানো পল্টন/ঢাকা।
  • খান টুরিস্ট এন্ড ট্রাভেলস। ঠিকানাঃ এসআর গার্ডেন, পঞ্চম তলা, নয়া পল্টন/ঢাকা।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কোথায় পাবেন- বিস্তারিত জানুন

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কোথায় পাবেন এটি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। বিশেষ করে যারা বিদেশে কাজের সুযোগ খুঁজছেন তাদের জন্য। আপনি যদি সরকারি নিয়োগে বিদেশে যেতে চান তবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া খুবই সহজ। বর্তমানে বেশিরভাগ সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনলাইনে প্রকাশিত হয়। যা সরকারি ওয়েবসাইটে যেমনঃ BOESL (ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড) এবং BMET (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং)-এ পাওয়া যায়। 

এছাড়া, বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং চাকরি সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্ম যেমন Jobs.com.bd, Bdjobs.com এবং সরকারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজগুলোতেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাই, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেতে হলে আপনাকে এগুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে এবং নিয়মিত চেক করতে হবে।এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে আপনি সহজেই দেশের এবং বিদেশের বিভিন্ন কাজের সুযোগ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সেগুলোর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সরকারি ওয়েবসাইটগুলো নিয়মিত আপডেট হয়, তাই সেখানে সবশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। এছাড়া, কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের নিউজলেটার বা ইমেইল সাবস্ক্রিপশন সেবা দিতেও পারে। যাতে আপনি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির খবর পেতে পারেন। এভাবে আপনি সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো পেয়ে যাবেন।

ভুয়া এজেন্ট থেকে কীভাবে সতর্ক থাকবেন

ভুয়া এজেন্ট থেকে কীভাবে সতর্ক থাকবেন এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে যারা বিদেশে কাজের সুযোগ খুঁজছেন। অনেক সময়, কিছু এজেন্ট ভুয়া বা অসাধু হয়ে থাকে। যারা অসৎ উদ্দেশ্যে মানুষকে প্রতারিত করে। এসব ভুয়া এজেন্ট সাধারণত অনেক প্রলোভন দেয় যেমনঃ কম খরচে বিদেশে চাকরি, দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া, অথবা যেকোনো কাজের জন্য নিশ্চয়তার কথা। কিন্তু এইসব প্রস্তাবগুলো প্রায়ই ফাঁকা প্রতিশ্রুতি। তাই ভুয়া এজেন্টদের থেকে সতর্ক থাকা খুব জরুরি।

আপনি যদি বিদেশে কাজের জন্য সরকারি এজেন্ট বা অফিসের মাধ্যমে আবেদন করেন। তবে সবসময় সরকারি ওয়েবসাইট এবং অনুমোদিত সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন। এছাড়া এজেন্টের থেকে টাকা নেওয়ার আগে, তাদের লাইসেন্স এবং সরকারি অনুমোদন যাচাই করে দেখুন। কোনো এজেন্ট যদি কাজের জন্য অতিরিক্ত ফি দাবি করে বা পে অফারের প্রলোভন দেয়, তবে তাদের সম্পর্কে সাবধান হন।

ভুয়া এজেন্ট থেকে সতর্ক থাকার উপায়ঃ

  • সবসময় সরকারি অনুমোদিত এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • এজেন্টের লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন যাচাই করুন।
  • অতিরিক্ত টাকা বা ফি চাওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না।
  • নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানুন।
  • যেকোনো ধরনের সন্দেহ হলে যাচাই করুন।
  • এছাড়া, অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া এবং সরকারি ওয়েবসাইট বা সরকারি এজেন্সি থেকে নিশ্চিত হয়ে আবেদন করা ভালো। সাবধানতা অবলম্বন করে আপনি নিরাপদে বিদেশে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুবিধা ও নিরাপত্তা

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার সুবিধা ও নিরাপত্তা অনেক বেশি। যখন আপনি সরকারি অনুমোদিত এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠান এর মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন, তখন আপনি বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। প্রথমত, সরকারি মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ এতে কোনো ধরনের প্রতারণা বা ভুয়া এজেন্টের involvement থাকে না। 

দ্বিতীয়ত, সরকার বিদেশে চাকরি দেয়ার প্রক্রিয়া খুবই স্বচ্ছ এবং নিশ্চিত করে যে আপনি একটি বৈধ এবং নির্ভরযোগ্য চাকরিতে কাজ করছেন। এছাড়া, সরকারি মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার সময়, আপনি সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমনঃ ভিসা, পাসপোর্ট, মেডিকেল পরীক্ষা ইত্যাদি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। এর ফলে আপনি আত্মবিশ্বাসী থাকতে পারেন যে আপনার বিদেশ যাত্রা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং বৈধ।

সরকারি মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার সুবিধা ও নিরাপত্তাঃ

সরকারিভাবে বিদেশে যাওয়ার এই সব সুবিধা আপনাকে নিশ্চিন্ত মনে বিদেশে কাজের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে। তাই সঠিক সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনি নিরাপদ এবং সুরক্ষিতভাবে বিদেশে কাজের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন। নিচে সরকারি মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার সুবিধা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হলো।
  • বিশ্বাসযোগ্যতাঃ সরকারি অনুমোদিত এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা সবকিছু পরিচালিত হওয়ায় চাকরি নিরাপদ এবং বৈধ।
  • স্বচ্ছ প্রক্রিয়াঃ আবেদন থেকে শুরু করে সবকিছুই স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হয়।
  • সাহায্যপ্রাপ্ত প্রক্রিয়াঃ বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র (ভিসা, পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট) সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হয়।
  • প্রতারণা মুক্তঃ কোনো ভুয়া এজেন্ট বা প্রতারণামূলক কাজের সাথে সম্পর্কিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
  • আর্থিক নিরাপত্তাঃ সরকারি মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া খরচ নির্ধারিত ও স্বচ্ছ থাকে, ফলে আপনি অতিরিক্ত খরচ থেকে নিরাপদ থাকেন।
  • যাত্রা সুরক্ষা: সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়, বিশেষত বিদেশে কাজের জন্য।

BOESL বিদেশে চাকরির আপডেট পেতে করণীয়

আপনি যদি বিদেশে চাকরি খুঁজতে চান এবং বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL)-এর মাধ্যমে আবেদন করতে চান, তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত, BOESL-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। যেখানে সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ইন্টারভিউ নোটিশ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়।

এছাড়া, BOESL-এর নোটিশ পেজ চেক করুন। যেখানে বিভিন্ন দেশের জন্য নিয়োগ সংক্রান্ত আপডেট পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রুনাইয়ের জন্য ইন্টারভিউ সংক্রান্ত নোটিশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য স্পেশাল ইউবিটি পরীক্ষার সময়সূচি এখানে পাওয়া যায়।দ্বিতীয়ত, BOESL-এর মাধ্যমে বিদেশে কাজের জন্য আবেদন করতে হলে, আপনাকে প্রথমে তাদের নির্ধারিত পোর্টালে (https://brms.boesl.gov.bd) গিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, আপনি নির্দিষ্ট দেশের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া  BOESL এর ফেসবুক পেজ এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিয়মিত আপডেট পাওয়া যায়। যা আপনাকে সর্বশেষ তথ্য জানাতে সহায়ক হবে। এভাবে আপনি BOESL এর মাধ্যমে চাকরির আপডেট প্রতিনিয়ত পেতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্যঃ সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ

সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার নিয়োগ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ২০২৫ সালে বিদেশে চাকরি পাওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি এবং সচেতনতা। সরকারি মাধ্যম এর সহায়তায় আপনি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য উপায়ে বিদেশে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। 

আবেদন করার আগে নিজের যোগ্যতা, ভাষাজ্ঞান, এবং চাকরির ধরন অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া খুবই জরুরি। পাশাপাশি, ভুয়া এজেন্ট থেকে সতর্ক থাকা এবং সবসময় সরকারি নির্দেশনা ও বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক পথে চলাই সফলতার চাবিকাঠি। তাই পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যান এবং আপনার স্বপ্নের বিদেশি ক্যারিয়ার গড়ুন নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url