পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম, সঠিক ব্যবহার বেশি উপকার
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আমাদের আনেকেরই জানা নেই। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজছেন? তাহলে পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। ব্রণ, দাগ, রোদে পোড়া ত্বক এমনকি চুলের যত্নেও রয়েছে এর জাদুকরী কার্যকারিতা।

পেজ সূচিপত্রঃ পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
- পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
- পতঞ্জলি এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম
-
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল কি
-
অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
-
তৈলাক্ত ত্বকে এলোভেরার ব্যবহার
-
চুলে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
-
রাতে এলোভেরা ব্যবহার
-
সচারাচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর
-
রাতে এলোভেরা দিয়ে ঘুমালে কি হয়
-
রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার
-
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল এর দাম কত
-
শুধু এলোভেরা মাখলে কি হয়
-
আসল এলোভেরা জেল চেনার উপায়
-
এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম
-
সম-সাময়িক প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
ত্বক আর চুলের যত্নে যাদুকরী একটি প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল। এই জেল ব্যবহার করলে ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ আর চুল পড়া অনেকটাই কমে যায়। তবে এর উপকার পেতে হলে জানতে হবে সঠিকভাবে কীভাবে ও কখন এটি ব্যবহার করতে হবে। অনেকে শুধু মুখে লাগিয়ে রাখেন, অথচ এর রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নিই প্রতিদিনের জীবনে কীভাবে এটি ব্যবহার করলে পাবেন দারুণ ফলাফল।
- ত্বকে ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনার মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর হাতের আঙুলে অল্প জেল নিয়ে মুখে ও গলায় আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। চাইলে এটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে রাখতে পারেন, যা নাইট ক্রিমের মতো কাজ করবে এবং ত্বককে সারারাত ধরে ময়েশ্চারাইজ করবে।
- যাদের ব্রণ বা দাগের সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন রাতে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ হালকা হতে শুরু করবে এবং ত্বক পরিষ্কার দেখাবে।
- রোদে পোড়া ত্বকের জন্য, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে তা ত্বককে শান্ত করে ও জ্বালাভাব কমায়। এটি একপ্রকার ন্যাচারাল সানবার্ন, পিঁপড়ে বা পোকার কামড়ে কিউর হিসেবেও কাজ করে।
- চুলের যত্নে ব্যবহার করতে হলে জেলটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে।তারপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এটি স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে, খুশকি কমায় এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক ও চুল উভয়ই থাকবে সুস্থ, মসৃণ ও উজ্জ্বল। তবে একবার লাগিয়েই ফল আশা না করে ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করাই সবচেয়ে বেশি উপকার এনে দেয়।
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম
পাতার সবুজ খোলস ফেলার পর ভেতরের যে স্বচ্ছ জেলি জাতীয় অংশটি থাকে সেটাই আসল অ্যালোভেরা জেল। এটি সাধারণত চামচ বা স্ক্র্যাপার দিয়ে আলতোভাবে তুলে নেওয়া হয়। এই জেল ভেতর থেকে বের করার সময় খেয়াল রাখা হয় যাতে এতে কোনো ময়লা বা পাতা না মেশে। এই প্রাকৃতিক জেলই পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেলের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অ্যালোভেরা জেল সহজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই এতে অল্প পরিমাণে প্রাকৃতিক সংরক্ষক যোগ করা হয় যাতে এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। এছাড়া ব্যবহারকারীর জন্য আরামদায়ক করতে এতে হালকা ভেষজ ঘ্রাণও মেশানো হয় যা জেল ব্যবহারের সময় সতেজ অনুভূতি দেয়। তবে এখানে কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার না করে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানই বেছে নেওয়া হয়।
সব উপাদান একত্রে মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয় যাতে জেলের টেক্সচার মসৃণ হয় এবং ত্বকে লাগানোর সময় আরামদায়ক মনে হয়। এরপর এই জেলকে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে বোতলে ভরা হয়। প্রতিটি বোতল ভালোভাবে সিল করে প্যাকেটজাত করা হয় যাতে সংরক্ষণে সমস্যা না হয় এবং গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এর গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকে।
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল কি
পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল হলো একটি প্রাকৃতিক ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহৃত হেলথি জেল, যা অ্যালোভেরা গাছের নির্যাস দিয়ে তৈরি। এই গাছটি অনেকদিন ধরেই ত্বকের নানা সমস্যার ঘরোয়া সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পতঞ্জলি কোম্পানি সেই উপকারকে আরও সহজ করে এনেছে বোতলবন্দি জেলের মাধ্যমে। যা ব্যবহার করাও সহজ এবং সংরক্ষণ করাও সুবিধাজনক।এই জেল দেখতে স্বচ্ছ ও হালকা সবুজ রঙের, এবং এটি ত্বকে দিলে ঠান্ডা অনুভব হয়।
আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ৭ সাবান- ত্বকে দেখুন জাদু
এটি ত্বকের রুক্ষতা কমায়, ব্রণের দাগ হালকা করে, রোদে পোড়া বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। শুধু ত্বকই না, এই জেল চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যাও কমে যায়। এতে কোনো হার্মফুল কেমিক্যাল নেই তাই সব ধরনের ত্বকে এটি ব্যবহার করা নিরাপদ। সরাসরি প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা ব্যবহার করা সব সময় সম্ভব হয় না। তাই পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল হচ্ছে তার সহজ ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং প্রতিদিনের রুটিনে রাখার মতো একটি উপকারী প্রোডাক্ট।
অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
তৈলাক্ত ত্বকে এলোভেরার ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বক মানেই সারাক্ষণ চিটচিটে একটা অস্বস্তি। বারবার মুখ ধোয়ার পরেও আবার তেল বের হয়। এর সঙ্গে যদি ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস আর রোমছিদ্র বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে সত্যি খুব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। কিন্তু এই সমস্যার একটা প্রাকৃতিক, সহজ আর সাশ্রয়ী সমাধান হতে পারে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বককে ঠান্ডা রাখে, অয়েল ব্যালেন্স করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এটি খুবই উপকারী, কারণ এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয় কিন্তু তেলযুক্ত করে না।
প্রথমেই একটি অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের উপরের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর হবে। এরপর মুখটা একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। হাতে অল্প পরিমাণ জেল (প্রায় ১ চা চামচ) নিয়ে নিন। যদি সম্ভব হয় ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জেল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক আরও সতেজ লাগবে। আঙুল দিয়ে গালে, কপালে, নাকে ও চিবুকে ডট করে জেল লাগান। তারপর হালকা হাতে উপরের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন যতক্ষণ না জেলটি ত্বকে মিশে যায়।
আপনি চাইলে এটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে সারা রাত রাখতে পারেন। আবার দিনে লাগালে ১৫–২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। দুটোভাবেই কাজ করে, কিন্তু রাতের ব্যবহারে ফলাফল একটু ভালো পাওয়া যায়। তৈলাক্ত ত্বকে প্রতিদিন ব্যবহার না করে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে ত্বক অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং বাড়তি তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
চুলে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকি, চুল পড়া বা চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো আজকাল অনেকের কাছেই খুব সাধারণ। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এইসব সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে অ্যালোভেরা জেল। এটি চুলের গোড়া ঠান্ডা রাখে, স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকে ভিটামিন A, C, E ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।
চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে মাথার ত্বক (স্ক্যাল্প) পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। তাই ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে নিন বা চাইলে শুকনো অবস্থাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর কিছুটা অ্যালোভেরা জেল হাতে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন যেন জেলটি স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মিশে যায়। এটি চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে।
আরো পড়ুনঃ পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক- ভুল ব্যবহার ডেকে আনতে পারে ক্ষতি
অ্যালোভেরা জেল শুধু স্ক্যাল্পেই না চুলের লম্বা অংশেও ব্যবহার করা যায়। এতে চুল কোমল, মসৃণ ও ঝলমলে দেখায়। অনেকেই এটিকে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন। আপনি চাইলে জেলটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট মাথায় রেখে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন, আবার কখনো কখনো রাতে লাগিয়ে ঘুমিয়েও যেতে পারেন (যদি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা না থাকে)। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন নিয়ম করে ব্যবহার করলে চুলের মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করবে।
বিশেষ করে খুশকির সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য অ্যালোভেরা জেল খুব কার্যকর। এটি মাথার ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ফাঙ্গাসজনিত খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করে। বাজারে পাওয়া কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্টের তুলনায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক, তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই। যাদের চুল রুক্ষ বা ড্যামেজড, তারা চাইলে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে চুল আরও মসৃণ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
রাতে এলোভেরা ব্যবহার
সারাদিন ধুলাবালি, রোদ আর ক্লান্তির পর আমাদের ত্বকও যেমন বিশ্রাম চায় ঠিক তেমনই চায় একটু যত্ন। রাতে ঘুমের সময় ত্বক নিজে নিজেই মেরামতের কাজ করে। আর তখন যদি আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেন তাহলে সেটি হয়ে উঠতে পারে একেবারে প্রাকৃতিক নাইট ট্রিটমেন্ট। অ্যালোভেরা জেলে থাকে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ত্বক ঠান্ডা রাখার উপাদান, যা রাতে ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি উপকৃত হয়।
রাতে ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সারাদিনের ধুলা-ময়লা ও মেকআপ মুখে থাকলে অ্যালোভেরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই একটি মাইল্ড ফেসওয়াশ বা শুধু পানি দিয়েই মুখ ধুয়ে নিন, তারপর তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। এরপর হাতের তালুতে অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিন। যেমনটি একটি ছোট চামচে ধরা যায়। এবার আঙুলের সাহায্যে মুখে, বিশেষ করে কপাল, গাল, নাক ও চিবুকে জেলটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন যেন জেলটা পুরো মুখে ভালোভাবে মিশে যায়।
রাতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে আপনি চাইলে তা ধুয়ে ফেলতে পারেন ২০–৩০ মিনিট পর, তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি এটি সারা রাত রেখে ঘুমিয়ে যান। এটি ত্বকের ভেতরে কাজ করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, দাগ হালকা করে এবং ব্রণ বা ফুসকুড়ি থাকলে তা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে নিলেই বুঝতে পারবেন ত্বক কতটা ফ্রেশ ও হাইড্রেটেড লাগছে।
যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ, তারা প্রথমবার ব্যবহার করার আগে হাতের ওপরে একটু টেস্ট করে নিতে পারেন। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্যও এটি উপকারী, কারণ এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয় ঠিকই, কিন্তু তেলতেলে ভাব ফেলে না। সপ্তাহে অন্তত ৩–৪ দিন রাতে ব্যবহার করলে আপনি ত্বকের মধ্যে একটা চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। ত্বক হবে মসৃণ, দাগহীন এবং উজ্জ্বল।
সচারাচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর
রাতে এলোভেরা দিয়ে ঘুমালে কি হয়
রাতে অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ঘুমালে ত্বকের জন্য তা খুব উপকারী হয়ে ওঠে। সারারাত জেলটি ত্বকের ভেতরে কাজ করে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে রাখে। এতে ত্বক নরম, মসৃণ ও সতেজ থাকে। যারা ব্রণ, দাগ বা রুক্ষতার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর। এটি ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং রোমছিদ্র ছোট করতে ভূমিকা রাখে।
অ্যালোভেরার ঠান্ডা ভাব ঘুমের সময় ত্বকে প্রশান্তি দেয় এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে ফ্রেশ একটা অনুভূতি পাওয়া যায়। নিয়মিত রাতে ব্যবহারে ত্বকে ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা আসে এবং ত্বক হয় আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি একেবারেই প্রাকৃতিক, তাই ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই।
রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার
রূপচর্চার কথা উঠলেই প্রথম যে কয়েকটি প্রাকৃতিক জিনিসের নাম মনে পড়ে তার মধ্যে অ্যালোভেরা অন্যতম। এটা শুধু মুখে লাগিয়ে ব্রণ শুকানোর কাজেই সীমাবদ্ধ নয়, এর ব্যবহার অনেক বিস্তৃত। ধরুন আপনি সারাদিন রোদে বাইরে ছিলেন ফিরে এসে মুখটা জ্বালাপোড়া করছে, তখন ফ্রিজ থেকে একটু ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল বের করে মুখে লাগালেই যেন একটা আরাম মেলে। আবার শুষ্ক ত্বকে যাদের ময়েশ্চারাইজার মানায় না তারা অ্যালোভেরাকে ব্যবহার করতে পারেন হালকা ক্রিম হিসেবে।
আরো পড়ুনঃ লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা
মেকআপের নিচে প্রাইমার হিসেবে লাগানো যায়, ঘুমানোর আগে নাইট জেল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এমনকি ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে চোখের নিচের কালি পর্যন্ত অ্যালোভেরা দিয়ে ধীরে ধীরে কমানো যায়। শুধু ত্বক নয় অ্যালোভেরা চুলেও অসাধারণ কাজ করে। চুলের গোড়ায় লাগালে স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে, খুশকি কমায় আর চুল ঝলমলে করে। হাত-পায়ের রুক্ষতাও এতে মাখলে অনেকটাই নরম হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এক বোতল অ্যালোভেরা জেল যেন ঘরে একটি ছোট রূপচর্চার ডাক্তার। যার কাজ শুধুই আপনার যত্ন নেওয়া, নিঃশব্দে এবং প্রাকৃতিকভাবে।
পতঞ্জলি এলোভেরা জেল এর দাম কত
পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল একটি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য রূপচর্চার পণ্য, যার দাম সাধারণত খুবই হাতের নাগালে। বাংলাদেশে এটি বিভিন্ন দোকান, কসমেটিক্স শপ কিংবা অনলাইন মার্কেটে পাওয়া যায় এবং এর দাম সাধারণত ১৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। যা টিউবের সাইজ ও কোথা থেকে কিনছেন তার উপর নির্ভর করে। ভারতে এর দাম প্রায় ৫০ থেকে ৯০ রুপি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
৬০ গ্রাম বা ১৫০ গ্রাম দুই ধরনের প্যাকেজেই এটি পাওয়া যায়। তাই ব্যবহারকারীরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। কম দামে এমন একটি প্রাকৃতিক ও বহুমুখী জেল পাওয়া সত্যিই উপকারী। কারণ এটি একসাথে ত্বক ও চুল দুয়েরই যত্নে ব্যবহার করা যায়। যারা প্রতিদিনের রুটিনে সহজ কিছু রাখতে চান তাদের জন্য পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল দামে যেমন সাশ্রয়ী, ব্যবহারেও তেমন কার্যকর।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url