পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম, সঠিক ব্যবহার বেশি উপকার

                           

পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আমাদের আনেকেরই জানা নেই। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজছেন? তাহলে পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। ব্রণ, দাগ, রোদে পোড়া ত্বক এমনকি চুলের যত্নেও রয়েছে এর জাদুকরী কার্যকারিতা। 

পতঞ্জলি-এলোভেরা-জেল-ব্যবহারের-নিয়মএটি মূলত অ্যালোভেরা গাছের নির্যাস থেকে তৈরী হয়। পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম জানলে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা আরো বেশী পরিমানে পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি এই জেল সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে আপনি এর পূর্ণ উপকার পাবেন না। আসুন জেনে নিই প্রতিদিন কীভাবে ব্যবহার করলে ত্বক ও চুল উভয়ই পাবে নতুন জীবন।

পেজ সূচিপত্রঃ পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

ত্বক আর চুলের যত্নে যাদুকরী একটি প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল। এই জেল ব্যবহার করলে ব্রণ, রোদে পোড়া দাগ আর চুল পড়া অনেকটাই কমে যায়। তবে এর উপকার পেতে হলে জানতে হবে সঠিকভাবে কীভাবে ও কখন এটি ব্যবহার করতে হবে। অনেকে শুধু মুখে লাগিয়ে রাখেন, অথচ এর রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নিই প্রতিদিনের জীবনে কীভাবে এটি ব্যবহার করলে পাবেন দারুণ ফলাফল।

  • ত্বকে ব্যবহারের জন্য প্রথমে আপনার মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর হাতের আঙুলে অল্প জেল নিয়ে মুখে ও গলায় আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। চাইলে এটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে রাখতে পারেন, যা নাইট ক্রিমের মতো কাজ করবে এবং ত্বককে সারারাত ধরে ময়েশ্চারাইজ করবে।
  • যাদের ব্রণ বা দাগের সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন রাতে আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ হালকা হতে শুরু করবে এবং ত্বক পরিষ্কার দেখাবে।
  • রোদে পোড়া ত্বকের জন্য, ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে তা ত্বককে শান্ত করে ও জ্বালাভাব কমায়। এটি একপ্রকার ন্যাচারাল সানবার্ন, পিঁপড়ে বা পোকার কামড়ে কিউর হিসেবেও কাজ করে।
  • চুলের যত্নে ব্যবহার করতে হলে জেলটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হবে।তারপর ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এটি স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে, খুশকি কমায় এবং চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক ও চুল উভয়ই থাকবে সুস্থ, মসৃণ ও উজ্জ্বল। তবে একবার লাগিয়েই ফল আশা না করে ধৈর্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করাই সবচেয়ে বেশি উপকার এনে দেয়।

পতঞ্জলি এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম

আমরা অনেকেই মনে করি পতঞ্জলি এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম খুব কঠিন। পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল তৈরি হয় মূলত অ্যালোভেরা গাছের ভেতরের স্বচ্ছ জেলি অংশ থেকে। এই গাছের পাতা মোটা ও রসালো হয়, যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারী। নিচে ধাপে ধাপে বোঝানো হলো কীভাবে এই জেল প্রস্তুত করা হয়।

পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল তৈরির প্রথম ধাপ হলো ভালো মানের তাজা অ্যালোভেরা পাতা সংগ্রহ করা। এই পাতাগুলো সাধারণত এমন বাগান থেকে নেওয়া হয় যেখানে কোনো রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। কারণ অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক উপাদান তাই এর বিশুদ্ধতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাতা যত টাটকা এবং রসালো হবে জেলের গুণগত মান তত বেশি ভালো হবে।

পাতাগুলো সংগ্রহ করার পর সেগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। এরপর পাতার দুপাশে থাকা কাঁটা অংশ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর পাতার উপরের সবুজ স্তরটুকু সাবধানে কেটে ফেলে ভেতরের স্বচ্ছ জেলি আলাদা করা হয়। এই ধাপে খুব সতর্ক থাকতে হয় যাতে পাতার হলুদ রঙের অংশ (যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে) জেলে না মিশে যায়।

পাতার সবুজ খোলস ফেলার পর ভেতরের যে স্বচ্ছ জেলি জাতীয় অংশটি থাকে সেটাই আসল অ্যালোভেরা জেল। এটি সাধারণত চামচ বা স্ক্র্যাপার দিয়ে আলতোভাবে তুলে নেওয়া হয়। এই জেল ভেতর থেকে বের করার সময় খেয়াল রাখা হয় যাতে এতে কোনো ময়লা বা পাতা না মেশে। এই প্রাকৃতিক জেলই পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেলের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

অ্যালোভেরা জেল সহজে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই এতে অল্প পরিমাণে প্রাকৃতিক সংরক্ষক যোগ করা হয় যাতে এটি দীর্ঘদিন ভালো থাকে। এছাড়া ব্যবহারকারীর জন্য আরামদায়ক করতে এতে হালকা ভেষজ ঘ্রাণও মেশানো হয় যা জেল ব্যবহারের সময় সতেজ অনুভূতি দেয়। তবে এখানে কৃত্রিম রাসায়নিক ব্যবহার না করে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানই বেছে নেওয়া হয়।

সব উপাদান একত্রে মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয় যাতে জেলের টেক্সচার মসৃণ হয় এবং ত্বকে লাগানোর সময় আরামদায়ক মনে হয়। এরপর এই জেলকে জীবাণুমুক্ত পরিবেশে বোতলে ভরা হয়। প্রতিটি বোতল ভালোভাবে সিল করে প্যাকেটজাত করা হয় যাতে সংরক্ষণে সমস্যা না হয় এবং গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এর গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকে।

পতঞ্জলি এলোভেরা জেল কি

পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল হলো একটি প্রাকৃতিক ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহৃত হেলথি জেল, যা অ্যালোভেরা গাছের নির্যাস দিয়ে তৈরি। এই গাছটি অনেকদিন ধরেই ত্বকের নানা সমস্যার ঘরোয়া সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পতঞ্জলি কোম্পানি সেই উপকারকে আরও সহজ করে এনেছে বোতলবন্দি জেলের মাধ্যমে। যা ব্যবহার করাও সহজ এবং সংরক্ষণ করাও সুবিধাজনক।এই জেল দেখতে স্বচ্ছ ও হালকা সবুজ রঙের, এবং এটি ত্বকে দিলে ঠান্ডা অনুভব হয়।

আরো পড়ুনঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ৭ সাবান- ত্বকে দেখুন জাদু

এটি ত্বকের রুক্ষতা কমায়, ব্রণের দাগ হালকা করে, রোদে পোড়া বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। শুধু ত্বকই না, এই জেল চুলের গোড়ায় লাগালে খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যাও কমে যায়। এতে কোনো হার্মফুল কেমিক্যাল নেই তাই সব ধরনের ত্বকে এটি ব্যবহার করা নিরাপদ। সরাসরি প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা ব্যবহার করা সব সময় সম্ভব হয় না। তাই পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল হচ্ছে তার সহজ ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং প্রতিদিনের রুটিনে রাখার মতো একটি উপকারী প্রোডাক্ট।

অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

অ্যালোভেরা জেল মুখের ত্বকের জন্য একদম প্রাকৃতিক ও নিরাপদ একটি উপাদান। নিয়মিত সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি ত্বক মসৃণ, উজ্জ্বল এবং ব্রণমুক্ত রাখতে দারুণ কাজ করে। তবে অনেকেই সঠিক নিয়ম না জানার কারণে পুরো উপকারটা পান না। তাই নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো কীভাবে অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করতে হয়। প্রথমেই আপনার মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ময়লা, ধুলা কিংবা মেকআপ ত্বকে থাকলে জেল ভালোভাবে কাজ করবে না। 

তাই একটি হালকা ফেসওয়াশ বা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। একটু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল  হাতে নিন। যদি আপনি বাজারের জেল ব্যবহার করেন তাহলে সেটা যেন ভেজালমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন ব্র্যান্ডের হয় (যেমনঃ পতঞ্জলি) সেটা খেয়াল রাখুন। চাইলে ঘরে তৈরি জেলও ব্যবহার করতে পারেন। আঙুল দিয়ে মুখে ছোট ছোট ডট করে জেল লাগিয়ে আলতো হাতে পুরো মুখে ছড়িয়ে দিন। এরপর গোল গোল করে ম্যাসাজ করুন, বিশেষ করে নাক, কপাল ও গালের অংশে। 

ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং জেল ভালোভাবে ত্বকে মিশে যায়। আপনি চাইলে জেল ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন, আবার রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে সারা রাত রেখেও দিতে পারেন। রাতে রেখে দিলে এটি নাইট ক্রিমের মতো কাজ করে এবং ত্বক গভীর থেকে হাইড্রেট হয় ও মেরামত হয়। যদি আপনি সারা রাত না রেখে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলতে চান তাহলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিয়ে পরে চাইলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

তৈলাক্ত ত্বকে এলোভেরার ব্যবহার

তৈলাক্ত ত্বক মানেই সারাক্ষণ চিটচিটে একটা অস্বস্তি। বারবার মুখ ধোয়ার পরেও আবার তেল বের হয়। এর সঙ্গে যদি ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস আর রোমছিদ্র বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে সত্যি খুব বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। কিন্তু এই সমস্যার একটা প্রাকৃতিক, সহজ আর সাশ্রয়ী সমাধান হতে পারে অ্যালোভেরা জেল। অ্যালোভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বককে ঠান্ডা রাখে, অয়েল ব্যালেন্স করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এটি খুবই উপকারী, কারণ এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয় কিন্তু তেলযুক্ত করে না।

প্রথমেই একটি অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে ত্বকের উপরের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর হবে। এরপর মুখটা একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। হাতে অল্প পরিমাণ জেল (প্রায় ১ চা চামচ) নিয়ে নিন। যদি সম্ভব হয় ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জেল ব্যবহার করুন। এতে ত্বক আরও সতেজ লাগবে। আঙুল দিয়ে গালে, কপালে, নাকে ও চিবুকে ডট করে জেল লাগান। তারপর হালকা হাতে উপরের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন যতক্ষণ না জেলটি ত্বকে মিশে যায়।

আপনি চাইলে এটি রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে সারা রাত রাখতে পারেন। আবার দিনে লাগালে ১৫–২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। দুটোভাবেই কাজ করে, কিন্তু রাতের ব্যবহারে ফলাফল একটু ভালো পাওয়া যায়। তৈলাক্ত ত্বকে প্রতিদিন ব্যবহার না করে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে ত্বক অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং বাড়তি তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আসে।

চুলে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকি, চুল পড়া বা চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো আজকাল অনেকের কাছেই খুব সাধারণ। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এইসব সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে অ্যালোভেরা জেল। এটি চুলের গোড়া ঠান্ডা রাখে, স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে থাকে ভিটামিন A, C, E ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।

চুলে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমে মাথার ত্বক (স্ক্যাল্প) পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। তাই ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল শুকিয়ে নিন বা চাইলে শুকনো অবস্থাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর কিছুটা অ্যালোভেরা জেল হাতে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন যেন জেলটি স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মিশে যায়। এটি চুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে।

আরো পড়ুনঃ পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক- ভুল ব্যবহার ডেকে আনতে পারে ক্ষতি

অ্যালোভেরা জেল শুধু স্ক্যাল্পেই না চুলের লম্বা অংশেও ব্যবহার করা যায়। এতে চুল কোমল, মসৃণ ও ঝলমলে দেখায়। অনেকেই এটিকে হেয়ার মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন। আপনি চাইলে জেলটি ২০ থেকে ৩০ মিনিট মাথায় রেখে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন, আবার কখনো কখনো রাতে লাগিয়ে ঘুমিয়েও যেতে পারেন (যদি ঠান্ডা লাগার প্রবণতা না থাকে)। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন নিয়ম করে ব্যবহার করলে চুলের মধ্যে পরিবর্তন আসতে শুরু করবে।

বিশেষ করে খুশকির সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য অ্যালোভেরা জেল খুব কার্যকর। এটি মাথার ত্বককে হাইড্রেট করে এবং ফাঙ্গাসজনিত খুশকি প্রতিরোধে সাহায্য করে। বাজারে পাওয়া কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার প্রোডাক্টের তুলনায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক, তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই। যাদের চুল রুক্ষ বা ড্যামেজড, তারা চাইলে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে চুল আরও মসৃণ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

রাতে এলোভেরা ব্যবহার

সারাদিন ধুলাবালি, রোদ আর ক্লান্তির পর আমাদের ত্বকও যেমন বিশ্রাম চায় ঠিক তেমনই চায় একটু যত্ন। রাতে ঘুমের সময় ত্বক নিজে নিজেই মেরামতের কাজ করে। আর তখন যদি আপনি অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেন তাহলে সেটি হয়ে উঠতে পারে একেবারে প্রাকৃতিক নাইট ট্রিটমেন্ট। অ্যালোভেরা জেলে থাকে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ত্বক ঠান্ডা রাখার উপাদান, যা রাতে ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি উপকৃত হয়।

রাতে ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। সারাদিনের ধুলা-ময়লা ও মেকআপ মুখে থাকলে অ্যালোভেরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই একটি মাইল্ড ফেসওয়াশ বা শুধু পানি দিয়েই মুখ ধুয়ে নিন, তারপর তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। এরপর হাতের তালুতে অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিন। যেমনটি একটি ছোট চামচে ধরা যায়। এবার আঙুলের সাহায্যে মুখে, বিশেষ করে কপাল, গাল, নাক ও চিবুকে জেলটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন যেন জেলটা পুরো মুখে ভালোভাবে মিশে যায়।

রাতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে আপনি চাইলে তা ধুয়ে ফেলতে পারেন ২০–৩০ মিনিট পর, তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি এটি সারা রাত রেখে ঘুমিয়ে যান। এটি ত্বকের ভেতরে কাজ করে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, দাগ হালকা করে এবং ব্রণ বা ফুসকুড়ি থাকলে তা ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে নিলেই বুঝতে পারবেন ত্বক কতটা ফ্রেশ ও হাইড্রেটেড লাগছে।

যাদের ত্বক খুব সেনসিটিভ, তারা প্রথমবার ব্যবহার করার আগে হাতের ওপরে একটু টেস্ট করে নিতে পারেন। আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্যও এটি উপকারী, কারণ এটি ত্বকে আর্দ্রতা দেয় ঠিকই, কিন্তু তেলতেলে ভাব ফেলে না। সপ্তাহে অন্তত ৩–৪ দিন রাতে ব্যবহার করলে আপনি ত্বকের মধ্যে একটা চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। ত্বক হবে মসৃণ, দাগহীন এবং উজ্জ্বল।

সচারাচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ এলোভেরা জেল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

উত্তরঃ মুখ পরিষ্কার করে অল্প পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে হয়। চাইলে ১৫–২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন বা রাতে সারা রাত লাগিয়ে রাখলেও উপকার পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ অঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল কিভাবে ব্যবহার করবেন?

উত্তরঃ পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল মুখ, চুল বা শরীরের যে কোনো অংশে সরাসরি ব্যবহার করা যায়। ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন এবং চুলে লাগালে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফল দেয়।

প্রশ্নঃ এলোভেরা সরাসরি মুখে দিলে কি হয়?

উত্তরঃ অ্যালোভেরা সরাসরি মুখে দিলে ত্বক ঠান্ডা হয়, ব্রণ কমে, ত্বক মসৃণ হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বাড়ে। তবে সেনসিটিভ ত্বকে আগে ছোট করে টেস্ট করা ভালো।

প্রশ্নঃ পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল এর কি কি উপকারিতা রয়েছে?

উত্তরঃ পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল ত্বক হাইড্রেট রাখে, ব্রণ ও রোদে পোড়া দাগ হালকা করে, ত্বকের রুক্ষতা কমায় এবং চুলের খুশকিও দূর করে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং ত্বকের জন্য নিরাপদ।

প্রশ্নঃ এলোভেরা কি মুখের কালো দাগ দূর করে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, নিয়মিত ব্যবহার করলে অ্যালোভেরা জেল মুখের কালো দাগ ধীরে ধীরে হালকা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং ত্বকের রঙ স্বাভাবিক রাখে।

রাতে এলোভেরা দিয়ে ঘুমালে কি হয়

রাতে অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ঘুমালে ত্বকের জন্য তা খুব উপকারী হয়ে ওঠে। সারারাত জেলটি ত্বকের ভেতরে কাজ করে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে রাখে। এতে ত্বক নরম, মসৃণ ও সতেজ থাকে। যারা ব্রণ, দাগ বা রুক্ষতার সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকর। এটি ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং রোমছিদ্র ছোট করতে ভূমিকা রাখে।

অ্যালোভেরার ঠান্ডা ভাব ঘুমের সময় ত্বকে প্রশান্তি দেয় এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখে ফ্রেশ একটা অনুভূতি পাওয়া যায়। নিয়মিত রাতে ব্যবহারে ত্বকে ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা আসে এবং ত্বক হয় আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি একেবারেই প্রাকৃতিক, তাই ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই।

রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার

রূপচর্চার কথা উঠলেই প্রথম যে কয়েকটি প্রাকৃতিক জিনিসের নাম মনে পড়ে তার মধ্যে অ্যালোভেরা অন্যতম। এটা শুধু মুখে লাগিয়ে ব্রণ শুকানোর কাজেই সীমাবদ্ধ নয়, এর ব্যবহার অনেক বিস্তৃত। ধরুন আপনি সারাদিন রোদে বাইরে ছিলেন ফিরে এসে মুখটা জ্বালাপোড়া করছে, তখন ফ্রিজ থেকে একটু ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল বের করে মুখে লাগালেই যেন একটা আরাম মেলে। আবার শুষ্ক ত্বকে যাদের ময়েশ্চারাইজার মানায় না তারা অ্যালোভেরাকে ব্যবহার করতে পারেন হালকা ক্রিম হিসেবে।

আরো পড়ুনঃ লোটাস নাইট ক্রিম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম ও উপকারিতা 

মেকআপের নিচে প্রাইমার হিসেবে লাগানো যায়, ঘুমানোর আগে নাইট জেল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এমনকি ঠোঁট ফাটা থেকে শুরু করে চোখের নিচের কালি পর্যন্ত অ্যালোভেরা দিয়ে ধীরে ধীরে কমানো যায়। শুধু ত্বক নয় অ্যালোভেরা চুলেও অসাধারণ কাজ করে। চুলের গোড়ায় লাগালে স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে, খুশকি কমায় আর চুল ঝলমলে করে। হাত-পায়ের রুক্ষতাও এতে মাখলে অনেকটাই নরম হয়ে যায়। সব মিলিয়ে এক বোতল অ্যালোভেরা জেল যেন ঘরে একটি ছোট রূপচর্চার ডাক্তার। যার কাজ শুধুই আপনার যত্ন নেওয়া, নিঃশব্দে এবং প্রাকৃতিকভাবে।

পতঞ্জলি এলোভেরা জেল এর দাম কত

পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল একটি সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য রূপচর্চার পণ্য, যার দাম সাধারণত খুবই হাতের নাগালে। বাংলাদেশে এটি বিভিন্ন দোকান, কসমেটিক্স শপ কিংবা অনলাইন মার্কেটে পাওয়া যায় এবং এর দাম সাধারণত ১৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। যা টিউবের সাইজ ও কোথা থেকে কিনছেন তার উপর নির্ভর করে। ভারতে এর দাম প্রায় ৫০ থেকে ৯০ রুপি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

৬০ গ্রাম বা ১৫০ গ্রাম দুই ধরনের প্যাকেজেই এটি পাওয়া যায়। তাই ব্যবহারকারীরা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। কম দামে এমন একটি প্রাকৃতিক ও বহুমুখী জেল পাওয়া সত্যিই উপকারী। কারণ এটি একসাথে ত্বক ও চুল দুয়েরই যত্নে ব্যবহার করা যায়। যারা প্রতিদিনের রুটিনে সহজ কিছু রাখতে চান তাদের জন্য পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল দামে যেমন সাশ্রয়ী, ব্যবহারেও তেমন কার্যকর।

শুধু এলোভেরা মাখলে কি হয়

শুধু অ্যালোভেরা মাখলেও ত্বকের অনেক উপকার হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি প্রাকৃতিক ও হালকা কিছু খুঁজছেন। অ্যালোভেরা ত্বককে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে, হাইড্রেট করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে কিন্তু অতিরিক্ত তেল বা চটচটে ভাব ফেলে না। যাদের ত্বকে ব্রণ, দাগ, রোদে পোড়া দাগ কিংবা লালচে ভাব থাকে, তারা শুধু অ্যালোভেরা লাগিয়েও উপকার পেতে পারেন। 

নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক হয় কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল। এমনকি রাতে ঘুমানোর আগে মুখে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে রাখলে তা নাইট ক্রিমের মতো কাজ করে। তবে যদি আপনার ত্বক খুবই শুষ্ক হয়, তখন শুধু অ্যালোভেরা যথেষ্ট না-ও হতে পারে, তখন সাথে হালকা ক্রিম বা তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে বলা যায় শুধু অ্যালোভেরা মেখেও আপনি ত্বকের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক যত্ন নিশ্চিত করতে পারেন।

আসল এলোভেরা জেল চেনার উপায়

আসল অ্যালোভেরা জেল চেনার জন্য সবচেয়ে আগে খেয়াল রাখতে হবে জেলের রং ও গন্ধে। প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল সাধারণত স্বচ্ছ বা হালকা সবুজ হয়, কখনোই গাঢ় সবুজ বা খুব উজ্জ্বল রঙের হয় না। যদি জেলটি খুব রঙিন বা চকচকে লাগে, তাহলে বুঝতে হবে সেখানে কৃত্রিম রং মেশানো হয়েছে। গন্ধের দিক থেকেও আসল অ্যালোভেরা জেল খুব হালকা বা প্রায় গন্ধহীন হয়। তীব্র পারফিউমের গন্ধ থাকলে সেটি নকল বা অতিরিক্ত কেমিক্যালে ভরা হতে পারে।

হাতের তালুতে নিয়ে যদি জেলটি সহজে মিশে যায়, চটচটে না লাগে এবং ঠান্ডা অনুভব হয় তবে সেটি সাধারণত ভালো মানের হয়। প্যাকেটের গায়ে উপাদানের তালিকা, মেয়াদ, ব্যাচ নম্বর এবং ব্র্যান্ডের নাম স্পষ্টভাবে থাকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাসযোগ্য দোকান থেকে কেনা এবং পণ্যের পেছনের লেবেল ভালোভাবে পড়ে নেওয়া হলেই আপনি সহজেই আসল অ্যালোভেরা জেল চিনে নিতে পারবেন।

এলোভেরা জেল তৈরির নিয়ম

অ্যালোভেরা জেল ঘরে বানাতে হলে প্রথমে একটি তাজা, মোটা ও সবুজ অ্যালোভেরা পাতা নিতে হবে। পাতাটি ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন, যাতে ময়লা বা কাঁটা কিছু লেগে না থাকে। এরপর ছুরি দিয়ে পাতার দুই পাশের কাঁটা অংশ কেটে দিন এবং পাতাটি লম্বালম্বিভাবে কেটে এর ভেতরের স্বচ্ছ জেলি অংশ আলাদা করে নিন। সেই জেলি একটি পরিষ্কার চামচ বা হাত দিয়ে তুলে ব্লেন্ডারে দিন। 

চাইলে এক চামচ ভিটামিন ই অয়েল বা কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মেশাতে পারেন, এতে জেল আরও পুষ্টিকর ও সংরক্ষণযোগ্য হয়। সব উপাদান ভালোভাবে ব্লেন্ড করে একটি কাচের বয়ামে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এই ঘরোয়া জেল আপনি ত্বক ও চুলে ব্যবহার করতে পারেন একেবারে নিশ্চিন্তে, কারণ এতে কোনো কেমিক্যাল থাকে না এবং এটি ৭–১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

সম-সাময়িক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্নঃ এলোভেরা মাথায় দিলে কি হয়?

উত্তরঃ অ্যালোভেরা মাথায় দিলে স্ক্যাল্প ঠান্ডা হয়, খুশকি কমে এবং চুলের গোড়া মজবুত হয়। এটি চুল পড়া কমায় ও চুলকে নরম, মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে।

প্রশ্নঃ এলোভেরার কি কি উপকারিতা রয়েছে?

উত্তরঃ অ্যালোভেরা ত্বক হাইড্রেট করে, ব্রণ ও দাগ হালকা করে, রোদে পোড়া কমায় এবং ত্বক ঠান্ডা রাখে। এছাড়া চুলের যত্নেও এটি খুব কার্যকরভাবে খুশকি ও চুলপড়া কমায়।

প্রশ্নঃ শুধু এলোভেরা মাখলে কি হয়?

উত্তরঃ শুধু অ্যালোভেরা মাখলেও ত্বক মসৃণ ও হাইড্রেটেড থাকে, ব্রণ ও লালচে ভাব কমে, ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে। এটি একা ব্যবহার করলেও ভালো ফল দেয়।

প্রশ্নঃ এলোভেরা জেল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?

উত্তরঃ পরিষ্কার ত্বকে বা চুলে অল্প জেল নিয়ে লাগাতে হয়। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন বা রাতে রেখে দিন। চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।

প্রশ্নঃ রাতে মুখে এলোভেরা দিলে কি হয়?

উত্তরঃ রাতে মুখে অ্যালোভেরা দিলে ত্বক সারারাত হাইড্রেট থাকে, ব্রণ ও দাগ হালকা হয়, রোমছিদ্র ছোট হয় এবং সকালে ত্বক ফ্রেশ ও উজ্জ্বল দেখায়।

লেখকের মন্তব্যঃ পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম

পতঞ্জলি এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।পতঞ্জলি অ্যালোভেরা জেল শুধু একটি পণ্য নয়, এটি প্রকৃতির এক নিঃস্বার্থ উপহার। প্রতিদিনের ছোট ছোট ত্বকের সমস্যায় এটি যেন এক নিশ্চিন্ত ভরসা। সহজ ব্যবহারে ত্বক আর চুলে এনে দিতে পারে আরাম, স্বচ্ছতা আর প্রাণ। যারা ব্যস্ত জীবনের মাঝে নিজের যত্ন নিতে ভুলে যান, তাদের জন্য এটি হতে পারে যত্নের সহজ পথ। 

এটি যেমন নিরাপদ, তেমনি কার্যকর। কেমিক্যাল ছাড়াই প্রকৃতির ছোঁয়া এনে দেয় প্রতিদিনের রূপচর্চায়। নিয়ম করে ব্যবহার করলে অ্যালোভেরা জেল আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে নিঃশব্দে। তাই নিজের জন্য একটু সময় বের করে দিন, অ্যালোভেরার ঠান্ডা ছোঁয়ায় ত্বক ও মনকে প্রশান্তি দিন। কৃত্রিমতা ছাড়াই আপনি পেতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুভব। শুধু নিয়মিত ব্যবহার আর নিজের প্রতি অল্প যত্নই বদলে দিতে পারে আপনার ত্বকের গল্প।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url