উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। উলট কম্বল
গাছ আমাদের আশেপাশে সহজেই দেখা গেলেও এর ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন
না। এই গাছের ডাটায় এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা শরীরের নানা সমস্যায়
কার্যকর ভূমিকা রাখে।
গ্রামবাংলার প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে এই গাছের ডাটার ব্যবহার ছিল খুবই পরিচিত এবং কার্যকর। আজকের আর্টিকেলে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন কীভাবে উলট কম্বল গাছের ডাটা ব্যবহার করে সহজেই নানা উপকার পাওয়া যায় যা জানলে আপনি সত্যিই অবাক হবেন।
উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। উলট কম্বল গাছের ডাটা
প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে পরিচিত। এটি শরীরের নানা রোগ নিরাময়ে ঘরোয়া চিকিৎসায়
ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে কাশি, হজম সমস্যা ও ত্বকের যত্নে এর কার্যকারিতা চোখে পড়ার
মতো। অনেকেই জানেন না এই ডাটা নিয়মিত ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
প্রাচীনকাল থেকেই এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চলুন নিচে আরও
বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
অনিয়মিত মাসিক সমস্যাঃ অনেক নারীরই মাসিক চক্র ঠিকমতো হয় না বা
দেরিতে হয়। উলট কম্বল গাছের ডাটা সিদ্ধ করে সেই পানি নিয়মিত খেলে
রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হয় এবং মাসিক নিয়মে আসতে সহায়তা করে। আবার উলট
কম্বল গাছের মূল পরিষ্কার করে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে কুসুম গরম পানির
সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অনিয়মিত মাসিক সমস্যা দূর হয়।
পেটব্যথা বা মাসিকের সময় ব্যথাঃ অনেক মেয়েরা মাসিক চলাকালে
তলপেটে ব্যথায় কষ্ট পান। এই সময় ডাটার রস হালকা গরম করে খেলে ব্যথা উপশমে
উপকার পাওয়া যায়। এটি পেটের পেশিগুলোকে আরাম দেয়।
সাদাস্রাব সমস্যাঃ অতিরিক্ত বা দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব মেয়েদের
এক সাধারণ সমস্যা। উলট কম্বল ডাটার পেস্ট পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল
করলে সংক্রমণ কমে এবং ইনফেকশন ধীরে ধীরে সারতে থাকে। সেই
সাথে গাছের মূলের শাঁস পিষে রস বানিয়ে সকাল সন্ধ্যা পানির সঙ্গে
মিশিয়ে খেতে হবে।
ত্বকের সমস্যা দূর করতেঃ উলট কম্বল ডাটার পেস্ট তৈরি করে সরাসরি
ত্বকে লাগালে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা র্যাশে উপকার মেলে। এটি প্রাকৃতিক
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
ঘন কালো উজ্জ্বল চুলঃ এই গাছের পাতার রস দুই টেবিল চামচ
কাস্টার অয়েল এর সঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চুলে
ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন।
মহিলাদের বুক ধরফর করাঃ গাছের কাঁচা ছাল পিছে ১০ গ্রাম
পানির মিশিয়ে তার সঙ্গে অর্জুন গাছের ছাল পাঁচগ্রাম মিশিয়ে খেতে
পারেন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
কাশি ও সর্দি কমাতেঃ এই গাছের ডাটাটি ভালো করে ধুয়ে কুচি কুচি করে
কেটে ১ গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করুন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে দিনে ১-২ বার পান
করুন। এতে কাশির উপশম হয় এবং বুকের জমে থাকা কফ বের হয়।
হজমে সাহায্য করেঃ এই গাছের ডাটার রসে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান হজমশক্তি
বাড়ায় এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমায়। খাবারের পরে অল্প পরিমাণ ডাটা সেদ্ধ
করে খেলে পাচনতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ নিয়মিত ডাটা সেদ্ধ খাওয়ার অভ্যাস শরীরের
ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এতে শরীর সহজে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ
প্রতিহত করতে পারে।
শক্তি বাড়াতে সহায়তা করেঃ এতে থাকা আয়রন ও খনিজ উপাদান দেহে
শক্তি জোগায় ও দুর্বলতা কমায়। বিশেষ করে যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তাদের
জন্য এটি উপকারী।
হরমোন ভারসাম্য রক্ষাঃ উলট কম্বল গাছের ডাটায় এমন কিছু উপাদান
থাকে যা মেয়েদের শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি পলিসিস্টিক ওভারি
সিনড্রোম (PCOS) বা অনিয়মিত হরমোনজনিত সমস্যায় সহায়ক হতে পারে।
ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা
উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতার পাশাপাশি বীজের উপকারিতাও অনেক। উলট কম্বল গাছের
বীজ বহুদিন ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে শরীরের
অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করতে। এই বীজের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সাধারণত শুকনো
বীজ গুঁড়ো করে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে
পেট পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
এটি লিভারের কার্যকারিতা ভালো করে ও রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে। মেয়েদের মাসিক
অনিয়ম বা হরমোন ভারসাম্য রক্ষাতেও এটি উপকারী হতে পারে। কেউ চাইলে এই বীজ দিয়ে
পেস্ট বানিয়ে ত্বকের প্রদাহ বা র্যাশের ওপরও লাগাতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে
প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক গুণ। তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত এবং প্রয়োজনে
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
উলট কম্বল গাছের শিকড়ের উপকারিতা
উলট কম্বল গাছের শিকড় প্রাকৃতিক চিকিৎসায় অত্যন্ত মূল্যবান একটি উপাদান। এটি
মূলত দেহের ভেতরের জমে থাকা বর্জ্য ও টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, যা
রক্ত বিশুদ্ধ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। সাধারণত শিকড় শুকিয়ে গুঁড়ো করে তা ১
গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে একবার পান করলে লিভার ও কিডনি ভালোভাবে কাজ
করতে পারে। এটি প্রস্রাবের সমস্যা, শরীরে জমে থাকা ফোলাভাব (ব্লাড রিটেনশন) এবং
ত্বকের নানা সমস্যায় উপকারী বলে বিবেচিত।
এছাড়াও যাদের ঘন ঘন মাথা ব্যথা বা হালকা জ্বর হয়, তাদের জন্য এই শিকড়ের ক্বাথ
বা চা জাতীয় পানীয় বেশ আরামদায়ক। শিকড়ের এই প্রাকৃতিক গুণাগুণ শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং এটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া ও নিরাপদ চিকিৎসার
একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে অতিরিক্ত বা ভুল ব্যবহারে
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম
উলট কম্বল গাছের ডাটা, পাতা বা শিকড় যেকোনো অংশই নির্দিষ্ট নিয়মে খাওয়া হলে
শরীরের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত এর ডাটা ভালোভাবে ধুয়ে টুকরো
করে কেটে, সেদ্ধ করে তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। এটি হালকা লবণ বা ভাজা
রসুন দিয়ে রান্না করলে স্বাদে যেমন ভালো লাগে, তেমনি এটি হজমেও সাহায্য করে।
আবার শিকড় বা বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খালি
পেটে সকালে খেলে দেহের ভেতরের টক্সিন পরিষ্কার হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।
দিনে ১ বার অথবা সপ্তাহে ৩–৪ দিন খাওয়ার অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে দেহের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, লিভার পরিষ্কার থাকে এবং ত্বকও উজ্জ্বল হয়। তবে অতিরিক্ত
খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত এবং গর্ভবতী বা বিশেষ শারীরিক অবস্থায় থাকলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকতে বিশেষ করে যারা প্রাকৃতিক ও
ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ থাকতে চান তাদের জন্য উলট কম্বল খাওয়া একটি সহজ ও কার্যকর
ঘরোয়া পদ্ধতি।
ওলট কম্বলের ওষুধ কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়?
উলট কম্বল গাছ থেকে তৈরি ওষুধে সাধারণত এই গাছের
ডাটা, শিকড়, পাতা ও বীজ ব্যবহৃত
হয়। এসব অংশ প্রথমে ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকানো হয়, তারপর গুঁড়ো বা নির্যাস
(extract) আকারে রূপান্তরিত করা হয়। অনেক আয়ুর্বেদিক কোম্পানি এগুলো দিয়ে
ক্যাপসুল, সিরাপ, তেল বা হারবাল পাউডার
তৈরি করে, যেখানে অন্যান্য সহায়ক উপাদান হিসেবে ত্রিফলা, তুলসি, মধু বা আদার
নির্যাসও মেশানো হয়।
এসব ওষুধ সাধারণত
কাশি, জ্বর, হজমের সমস্যা, ত্বকের প্রদাহ, অনিয়মিত মাসিক
ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। ব্যবহার পদ্ধতি হিসেবে ক্যাপসুল খেতে হয় দিনে ১–২
বার, সিরাপ নিতে হয় খাবারের পরে, আর পাউডার গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হয় খালি
পেটে। এইসব উপাদান শরীরে ঢুকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অন্ত্র ও লিভার
পরিষ্কার করে এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে। যেহেতু এটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি
তাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম। তবে নিয়ম মেনে ব্যবহার করাটাই সবচেয়ে জরুরি।
ওলট কম্বল গাছের গুনাগুন
উলট কম্বল গাছ একটি প্রাকৃতিক ভেষজ উদ্ভিদ। যার পাতার নিচে তুলার মতো নরম আবরণ
থাকে। এই গাছের ডাটা, পাতা, বীজ ও শিকড়ে রয়েছে শক্তিশালী ওষধি গুণাগুণ। এটি
মূলত
কাশি, সর্দি, জ্বর, হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকের রোগ ও অনিয়মিত
মাসিক
সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। ডাটাটি রান্না করে খাওয়া যায়, শিকড় শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানির
সঙ্গে খেলে লিভার ও কিডনি পরিষ্কার থাকে।
পাতা সেদ্ধ করে ত্বকে ব্যবহার করলে র্যাশ, চুলকানি ও ফোড়ার সমস্যা কমে যায়।
গাছটির প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ শরীরকে ভেতর
থেকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সহজলভ্য, সস্তা ও
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন একটি ভেষজ গাছ যা নিয়মিত ব্যবহারে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ওলট কম্বল খাওয়ার উপকারিতা
প্রাচীনকালের দাদি-নানিদের ঘরোয়া ওষুধের তালিকায় উলট কম্বল গাছের নাম ছিল
অগ্রভাগে। কিন্তু এখনকার প্রজন্ম একে প্রায় ভুলেই গেছে। অথচ এই গাছের ডাটা বা
পাতা সেদ্ধ করে নিয়মিত খেলে হজমে সহায়তা করে, পেটের গ্যাস ও অম্বল কমায় এবং
শরীরের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর বর্জ্য ধীরে ধীরে বের করে দেয়। যারা বারবার
ঠান্ডা-কাশিতে ভোগেন বা দুর্বলতা অনুভব করেন, তারা সপ্তাহে ২-৩ দিন এই গাছের
তরকারি খেতে পারেন।
প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। এমনকি মেয়েদের মাসিকের আগে বা
পরের অস্বস্তিজনিত ব্যথা কমাতেও এটি দারুণ কার্যকর। খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়
হলো পাতা ও ডাটা ধুয়ে হালকা লবণ-সরিষার তেলে ভেজে কিংবা ডাল দিয়ে রান্না করে
খাওয়া। এটি যেমন পুষ্টিকর, তেমনি ওষুধের মতো ধীরে ধীরে কাজ করে, কিন্তু কোনো
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রাখে না।
সমসাময়িক প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ উলট কম্বলের উপকারিতা কি কি?
উত্তরঃ উলট কম্বল একটি প্রাকৃতিক ভেষজ গাছ, যার ডাটা, পাতা, শিকড় ও বীজে
রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। এটি কাশি ও ঠান্ডা উপশমে সহায়ক, হজম শক্তি বাড়ায়,
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের সমস্যা কমায় এবং মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক ও
তলপেটের ব্যথা কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। এছাড়া এটি দেহের বিষাক্ত পদার্থ
পরিষ্কার করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
প্রশ্নঃ উলট কম্বল গাছের ডাটা কি?
উত্তরঃ উলট কম্বল গাছের ডাটা হচ্ছে গাছটির মোটা সবুজ কাণ্ড, যা
সাধারণত ডাল বা শাখা হিসেবে পরিচিত। এটি নরম, সামান্য বাঁকানো ও ভেতরে আর্দ্র
থাকে। এই ডাটাই সাধারণত রান্না করে খাওয়া হয়, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও হজম সহায়ক উপাদান, যা পেটের সমস্যা ও
ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ উলট কম্বল গাছ খেলে কী উপকার হয়?
উত্তরঃ এই গাছ খেলে হজম ভালো হয়, কাশি ও ঠান্ডা উপশম হয়, মাসিকের ব্যথা কমে এবং
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
প্রশ্নঃ উলট কম্বল গাছের কোন অংশ খাওয়া যায়?
উত্তরঃ এর ডাটা ও পাতা সাধারণত রান্না করে খাওয়া হয়। এছাড়া শিকড় ও বীজও শুকিয়ে
গুঁড়ো করে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্নঃ কীভাবে উলট কম্বল খেতে হয়?
উত্তরঃ পাতা ও ডাটা ধুয়ে টুকরো করে ভেজে অথবা ডাল দিয়ে রান্না করে খেতে হয়।
আবার শিকড় বা বীজ গুঁড়ো করে গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ উলট কম্বল গাছ কারা খেতে পারবে?
উত্তরঃ সাধারণত সব বয়সের মানুষই খেতে পারে। তবে গর্ভবতী নারী বা যাদের ওষুধে
অ্যালার্জি আছে, তারা আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
প্রশ্নঃ এই গাছ কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ উলট কম্বল গাছ সাধারণত গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট, খোলা জমি বা বনজ জায়গায়
বেশি দেখা যায়। এটি খুব সহজলভ্য।
প্রশ্নঃ উলট কম্বল খেলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
উত্তরঃ সাধারণভাবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
নিয়ম মেনে খেলে এটি নিরাপদ।
লেখকের মন্তব্যঃ উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা
উলট কম্বল গাছের ডাটার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত
জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত
হয়েছেন। উলট কম্বল গাছের ডাটা প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার যা আমাদের
সুস্থতা ও জীবনের গুণগত মান বাড়ায়। এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় সাহায্য
করার পাশাপাশি মনকে প্রশান্তি দেয়। প্রাকৃতিক এই ঔষধটি অনেক দিন ধরে মানুষকে
সুস্থ রাখছে এবং এর গুরুত্ব আজও অপরিবর্তিত।
যারা নিজের এবং পরিবারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন তাদের জন্য উলট কম্বল
গাছের ডাটা অপরিহার্য একটি সম্পদ। রান্নায় ব্যবহার করলেও এটি স্বাদ বাড়ায়
তবুও এর প্রকৃত শক্তি হলো শরীরকে স্বাস্থ্যবান ও জীবনীশক্তিতে ভরিয়ে তোলা।
তাই আমাদের উচিত এই প্রাকৃতিক উপহারটিকে গুরুত্ব দিয়ে খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত
অন্তর্ভুক্ত করা। এই সহজ উপায়ে আমরা স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখতে পারি ভালোবাসার
সঙ্গে। ধন্যবাদ এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url