ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সহজ নিয়ম- টাকা ফেরত পাবেন ১ মিনিটেই
Bongo Tips IT ✅
৫ জুল, ২০২৫
ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে এবং কিভাবে টাকা ফেরত
পাবেন তা অনেকেই জানেন না। আজকের আর্টিকেলে আমরা খুব সহজ ভাষায় জানাবো
ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সহজ নিয়ম, সময়সীমা, এবং কত টাকা ফেরত পাওয়া যায় তা
নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। মাত্র ১ মিনিটেই আপনি জানতে পারবেন অনলাইনে ও স্টেশনে
গিয়ে টিকিট বাতিলের পুরো প্রক্রিয়া।
টিকিট ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া ভুল করলে টাকা ফেরত নাও পেতে পারেন। তাই সঠিক নিয়ম জানাটা জরুরি। আর্টিকেলের
মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো ট্রেনের টিকিট বাতিল করার পুরো প্রক্রিয়া। তাই
আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম চালু করা হয়েছিল যাত্রীদের ভোগান্তি
কমানোর জন্য।বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সহজ নিয়ম চালু করে ২০২৩
সালের ১লা মার্চ। যখন অনলাইন টিকিট বিক্রির সিস্টেম আরও আধুনিক করা হয়। এর মূল
উদ্দেশ্য ছিল যাত্রীদের ভোগান্তি কমানো ও পরিষেবা সহজ করা। আগে টিকিট কাটার পর
যাত্রা বাতিল হলেও অনেকেই টাকা ফেরত পেতেন না।
কারণ বাতিল করার নির্দিষ্ট নিয়ম বা ডিজিটাল পদ্ধতি ছিল না। কিন্তু এখন অনলাইনে
বা স্টেশনে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকিট বাতিল করলে নির্দিষ্ট হারে টাকা
ফেরত পাওয়া যায়। এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে যাত্রীরা এখন অনেক বেশি
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারছেন। কারণ প্রয়োজনে সেটি বাতিল করে
রিফান্ড পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বাতিল করার সহজ নিয়ম আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে
জানিনা। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বাতিল করা এখন খুবই সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। ঘরে
বসেই আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে কয়েকটি ধাপে টিকিট ক্যানসেল করতে
পারেন। এতে স্টেশনে না গিয়ে ঝামেলা ছাড়াই টিকিট রিফান্ড করা যায়। নির্দিষ্ট
সময়ের মধ্যেই যদি টিকিট বাতিল করেন তাহলে কাটা চার্জ বাদে টাকা ফেরত আসে। এই পুরো
প্রক্রিয়াটি জানলে আপনি সহজেই যেকোনো সময় যাত্রা বাতিল করে টাকা ফেরত নিতে
পারবেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই-
প্রথমে আপনাকে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে গুগল ক্রোম বা
ফায়ারফক্স যেকোন ব্রাউজারে গিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
eticket.railway.gov.bd তে প্রবেশ করুন।
তারপর আপনি যেই নাম্বার বা ইমেইল দিয়ে টিকিট কাটছিলেন সেই আইডি দিয়ে লগইন
করুন। লগইন না করলে টিকিট বাতিল করা যাবে না।
লগইন করার পর দেখতে পাবেন সেখানে তিনটি অপশন রয়েছে Buy Tickets, My Tickets, My
Account. "My Tickets" নামে যে অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। সেখানে ক্লিক
করে আপনি আপনার কাটা টিকিটগুলোর তালিকা দেখতে পারবেন। যে টিকিটটি বাতিল করতে
চান সেটি নির্বাচন করুন।
সিলেক্ট করার পর Cancel Ticket বাটনে ক্লিক করুন। এখন আপনি টিকেট
সম্পর্কে বিস্তারিত যেমন টিকেটটি ফেরত দিলে কত টাকা পাবেন এসব দেখতে
পাবেন।
এরপর আপনাকে কনফার্ম ক্যান্সলেশন এ ক্লিক করতে হবে।
এরপর একটি কনফার্মেশন মেসেজ আসবে। এই মেসেজটি আপনার জিমেইল নাম্বারে
আসবে। এই কনফার্মেশন কোডটি অবশ্যই তিন মিনিটের মধ্যে ভেরিফাই করতে
হবে।
ভেরিফাই করার পর আপনি Refund in Progress অপশনটি এবং পরবর্তীতে সেখানে Ok বাটন ক্লিক করলেই আপনার টিকিট বাতিল সম্পন্ন হবে।
তারপর আপনি পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে টিকিটের টাকাটি ফেরত পাবেন।
অবশ্যই ট্রেনের টিকিটটি কমপক্ষে ট্রেন আসার সময়ের তিন ঘন্টা আগেই বাতিল করতে
হবে। আশা করি আপনারা এখন থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে পারবেন।
কাউন্টারে ট্রেনের টিকিট ফেরত দেওয়ার নিয়ম
আপনি যদি ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কেটে থাকেন এবং যাত্রা
বাতিল করতে চান তাহলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন। এ জন্য
ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্টেশনের রিফান্ড কাউন্টারে যেতে হবে। সেখানে
কিছু কাগজপত্র এবং একটি আবেদনপত্র জমা দিয়ে টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করতে হয়।
যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই বাংলাদেশ রেলওয়ে এই নিয়ম চালু করেছে। পুরো
প্রক্রিয়াটি জানলে সহজেই কাউন্টার থেকে টিকিট বাতিল করে টাকা ফেরত পেতে পারেন।
আমি আপনাকে যে স্টেশন বা টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছেন সেখানে যেতে
হবে। কোন স্টেশন থেকে টিকিট ক্যানসেল করা যাবে না।
ট্রেনের টিকিট বাতিল করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে
৪৮ ঘন্টা পূর্বে ট্রেনের টিকিটটি ফেরত দিতে হবে।
যাত্রার কত আগে টিকিট ফেরত দিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে টাকা কাটা হয়। যেমনঃ
৪৮ ঘণ্টা আগে ফেরত দিলে ২৫%, ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫০%, আর ১২ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫%
টাকা কাটা হয়।
টিকিট ফেরত দেওয়ার সময় মূল টিকিট, যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং
যাত্রীর স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনপত্র থাকতে হবে। প্রয়োজনে ফোন নম্বরও লাগতে পারে।
তারপর আপনার টিকিট বাতিলের কার্যক্রম শুরু হবে।
কখন টিকিট বাতিল করা যায়
ট্রেনের টিকিট বাতিল করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময়সীমা অনুসরণ করতে হয়। যাতে
আপনি সহজে টাকা ফেরত পেতে পারেন। সাধারণত ট্রেন ছাড়ার
কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল
করলে আপনি রিফান্ডের জন্য যোগ্য হবেন। তবে এর কম সময়ে যদি আপনি টাকা
রিফান্ড চান অর্থাৎ টিকেট বাতিল করতে চান সে ক্ষেত্রে আর বাতিল করা সম্ভব নয়।
তবে যাত্রার সময় যত কমে আসে রিফান্ডের পরিমাণ তত কমে যায়।
যেমনঃ ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় আগে বাতিল করলে সবচেয়ে বেশি টাকা
ফেরত পাওয়া যায়। আর ১২ ঘণ্টার কম সময় থাকলে টিকিট বাতিল করতে গেলে টাকা
রিফান্ড থেকে বড় অংশ কেটে নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট এই সময়ের পর যদি আপনি টিকিট
বাতিল করতে চান তাহলে টাকা ফেরত নাও পেতে পারেন। তাই যারা যাত্রা বাতিল করতে চান
তাদের জন্য সময় মেনে টিকিট ক্যানসেল করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে ফেরত পাওয়া টাকার পনিমাণ
ট্রেনের টিকিট ক্যানসেল করলে আপনি পুরো টাকাটা ফেরত পাবেন না বরং নির্দিষ্ট হারে
কিছু টাকা কেটে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী যদি আপনি ট্রেন
ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় আগে টিকিট বাতিল করেন তাহলে মোট টিকিট মূল্যের
৭৫% পর্যন্ত ফেরত পেতে পারেন। যদি
২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করেন তাহলে
৫০% পর্যন্ত ফেরত পাবেন।
আর যদি ১২ ঘণ্টার কম সময় বাকি থাকে তখন
শুধু আপনাকে ২৫% পর্যন্ত টাকা
ফেরত দেওয়া হবে। এই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে কোনো টিকিট বাতিল রিফান্ড
পাওয়া যায় না। তাই আপনি যদি বিশেষ কোনো কারণে যাত্রা বাতিল করতে চান তাহলে
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন। কারণ আপনি যত দ্রুত সময়ে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন তত
বেশি টাকা রিফান্ড পাবেন।
ট্রেনের টিকিট বাতিলের চার্জ বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ট্রেনের টিকিট বাতিল করতে গেলে পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যায় না কিছু
চার্জ কেটে নেওয়া হয়। এই চার্জ নির্ভর করে আপনি কত আগে টিকিট ক্যানসেল করছেন
তার উপর। যদি আপনি অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নেন তাহলে কাটা টাকা খুবই কম হয়। ধরুন,
ট্রেন ছাড়ার দুই দিন আগেই টিকিট বাতিল করলে ২৫% কেটে বাকি টাকা ফেরত পাবেন।
কিন্তু সময় যত কমে আসবে চার্জ ততই বাড়বে। ২৪ ঘণ্টার ভেতরে বাতিল করলে প্রায়
অর্ধেক টাকা কেটে নেওয়া হয়, আর ১২ ঘণ্টার কম সময় থাকলে ৭৫% পর্যন্ত কেটে নেয়
রেলওয়ে। তাই যাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত যদি নিতেই হয় তাহলে দেরি না করে দ্রুত
ক্যানসেল করাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার জন্য যে মেইলে অভিযোগ করবেন
অনেক সময় আমরা ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে বা ক্যানসেল করতে গিয়ে নানা ধরনের
সমস্যায় পড়ি। কখনও দেখা যায় টিকিট কেটে টাকা কেটে নিয়েছে কিন্তু কনফার্মেশন
মেলেনি, আবার কখনও অনলাইন ক্যানসেল করার পরেও টাকা ফেরত আসে না। এই ধরনের সমস্যা
হলে দুশ্চিন্তা না করে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত ইমেইল ঠিকানায় অভিযোগ
জানানোই সবচেয়ে ভালো উপায়। আপনাকে শুধু সমস্যার বিবরণ সংক্ষেপে লিখে সঙ্গে
টিকিট নম্বর, তারিখ, ট্রেনের নাম, মোবাইল নম্বর এবং সম্ভব হলে স্ক্রিনশটসহ পাঠাতে
হবে eticket@railway.gov.bd এই
ঠিকানায়।
মেইলটি সংক্ষিপ্ত, পরিষ্কার এবং ভদ্র ভাষায় লেখা থাকলে সাধারণত কয়েক কার্যদিবসের
মধ্যেই বা যত দ্রুত সম্ভব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখে উত্তর দেয়
অথবা সমস্যার সমাধান করে। অনেকেই ভাবেন সরকারি সেবায় অভিযোগ করলে কাজ হবে না।
কিন্তু বাস্তবে রেলওয়ের অনলাইন টিম এখন অনেক বেশী সক্রিয় ও সহানুভূতিশীল। তাই
টিকিট সংক্রান্ত যেকোনো ঝামেলায় পড়লে দেরি না করে সঠিক তথ্য দিয়ে মেইল করাই
সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। আমি নিজেই এই পদ্ধতিতে উপকার পেয়েছি এবং
টাকা ফেরত পেয়েছি। আশা করি আপনারাও উপকৃত হবেন।
বিশেষ সতর্কতা ও টিপস
ট্রেনের টিকিট কাটা বা বাতিল করার সময় কিছু বিষয় বিশেষভাবে খেয়াল রাখা খুব
জরুরি। তা না হলে আপনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। প্রথমত, টিকিট কাটার সময়
অবশ্যই সঠিক তারিখ, গন্তব্য ও ট্রেনের নাম যাচাই করে নিন। কারণ একবার কাটা টিকিট
বাতিল করলে কিছু টাকা কাটা পড়ে। দ্বিতীয়ত, অনলাইনে কাটা টিকিট শুধু অনলাইনের
মাধ্যমেই বাতিল করা যায়, কাউন্টারে নয়। আবার কাউন্টারে কাটা টিকিট বাতিল করতে
গেলে সরাসরি স্টেশনে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগে টিকিট বাতিল করতে
হবে।
এছাড়া টিকিট বাতিলের সময়সীমা ও চার্জ সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা রাখা জরুরি। যাতে
সময়মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে টাকা রিফান্ড আদায় করতে পারেন। সবশেষে, টিকিট
সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে গুজবে কান না দিয়ে রেলওয়ের অফিসিয়াল ইমেইলে যোগাযোগ
করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। এই ছোট ছোট সতর্কতা মানলে আপনি ট্রেন ভ্রমণে ঝামেলা
এড়াতে পারবেন এবং প্রয়োজনে টিকিট বাতিল করেও নিশ্চিন্তে টাকা ফেরত পেতে পারেন।
সম-সাময়িক প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ট্রেনের টিকিট বাতিল করলে কত টাকা ফেরত পাওয়া যায়?
উত্তরঃ রিফান্ডের পরিমাণ নির্ভর করে আপনি কত আগে টিকিট ক্যানসেল করছেন তার
উপর।
যদি ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা বা তার বেশি আগে বাতিল করেন, তাহলে টিকিট মূল্যের ৭৫%
ফেরত পাবেন।
২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করলে ৫০% ফেরত পাবেন।
১২ ঘণ্টার কম থাকলে ২৫% ফেরত পাবেন। এই সময় পার হলে কোনো রিফান্ড পাওয়া যায়
না।
প্রশ্নঃ টিকিট ক্যানসেল করার জন্য কত আগে আবেদন করতে হবে?
উত্তরঃ ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে টিকিট ক্যানসেল করতে হবে।
এই সময়সীমার মধ্যে আবেদন না করলে আপনি রিফান্ড পাবেন না। তাই যাত্রা বাতিলের
সিদ্ধান্ত দ্রুত নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রশ্নঃ অনলাইনে কেনা ট্রেনের টিকিট কীভাবে বাতিল করা যায়?
উত্তরঃ অনলাইনে টিকিট বাতিল করতে হলে প্রথমে
eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইট লগইন করুন। এরপর “My Tickets” অপশনে গিয়ে
যেই টিকিটটি বাতিল করতে চান সেটি সিলেক্ট করে “Cancel” বাটনে ক্লিক করুন। একটি
কনফার্মেশন মেইল আসবে। তা কনফার্ম করলে টিকিট বাতিল হয়ে যাবে। সফলভাবে বাতিল
হলে টাকা রিফান্ড প্রসেস শুরু হয়।
প্রশ্নঃ অনলাইনে কাটা টিকিট কি কাউন্টারে বাতিল করা যায়?
উত্তরঃ না, অনলাইনে কাটা টিকিট শুধু অনলাইনের মাধ্যমেই বাতিল করতে
হয়। কাউন্টারে গিয়ে এই টিকিট বাতিল করা যায় না। আবার কাউন্টারে কাটা টিকিট
অনলাইনে ক্যানসেল করা যায় না। সেটি বাতিল করতে হলে সরাসরি স্টেশনের রিফান্ড
কাউন্টারে যেতে হবে।
প্রশ্নঃ টিকিট ক্যানসেল করলে টাকা ফেরত পেতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ অনলাইনে কাটা টিকিট বাতিল করলে সাধারণত ৩ থেকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে টাকা
ফেরত পাঠানো হয়। টাকা ফেরত পেতে আপনার বিকাশ, নগদ, রকেট বা ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যেটি টিকিট কেনার সময় ব্যবহার
করেছিলেন।
লেখকের মন্তব্যঃ ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম
ট্রেনের টিকিট বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত জানানোর
চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন। ট্রেনের
টিকিট বাতিলের নিয়ম অনেক যাত্রীর কাছেই এখনও পরিষ্কার নয়। যার ফলে অনেকেই
প্রয়োজনে রিফান্ড পান না বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। এই কারণেই আমি
মনে করি প্রত্যেক ট্রেনযাত্রীর এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকা জরুরি।
সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া, সঠিক মাধ্যম ব্যবহার করা এবং নিয়ম মেনে আবেদন করলেই
খুব সহজে আপনি আপনার কষ্টের টাকাটা ফেরত পেতে পারেন। যাত্রীসেবাকে আরও সহজ ও
আধুনিক করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করি ভবিষ্যতে এই
প্রক্রিয়াগুলো আরও ডিজিটাল ও ঝামেলামুক্ত হবে। সচেতনতা থাকলে ট্রেনভ্রমণ শুধু
আরামদায়কই নয় বরং সাশ্রয়ীও হতে পারে।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url