ঢাকা টু সীতাকুণ্ড ট্রেন সময়সূচী ও টিকিট মূল্য ২০২৫
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী জানা খুবই প্রয়োজনীয় বিশেষ করে যারা ট্রেনে এই রুটের প্রতিনিয়ত চলাচল করেন।চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সীতাকুণ্ড হল একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখান থেকে প্রতিদিন মানুষজন পর্যটক, ব্যবসা, পড়াশোনা বা জীবিকার তাগিদে ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করেন।
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য ট্রেন ভ্রমণ হচ্ছে খুবই সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক একটি মাধ্যম। সাধারণত ঢাকা টু সীতাকুন্ড সারাদিনে কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত এই ট্রেনগুলো প্রতিদিন যাতায়াত করে। এগুলোর মাধ্যমে আপনি ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড বা সীতাকুণ্ড থেকে ঢাকা খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী
- ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী
- ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড রুটে যে সকল ট্রেন চলাচল করে
-
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড সকল ট্রেনের আপডেট সময়সূচী
- ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড মেইল ট্রেনের সময়সূচী
- ঢাকা টু সীতাকুণ্ড ট্রেনের টিকিট ভাড়া
- অনলাইনে ঢাকা টু সীতকিুন্ড ট্রেনের টিকিট বুকিং পদ্ধতি
-
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডর মোট দূরত্ব কত
- ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেন ভ্রমণের সুবিধা
- নিজের অভিজ্ঞতা ও সাশ্রয়ী ভ্রমণের জন্য পরামর্শ
- সমসাময়িক প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ ঢাকা টু সীতকিুন্ড ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে আপনাদের এখন বিস্তারিত
জানাবো। ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে অনেকগুলো
ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা আপনার ভ্রমণকে আরো সুবিধা জনক এবং সাশ্রয়ী করে
তুলবে। আপনারা যদি অফলাইনে টিকিট করতে চান তাহলে কমলাপুর রেলস্টেশন
গিয়ে ২০ নং কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
ট্রেনের নাম | ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় | সীতাকুন্ড পৌছানোর সময় |
---|---|---|
মেইল ট্রেন(৭৪৫) | রাত ১০ঃ৩০(কমলাপুর স্টেশন থেকে) | সকাল ৭ঃ২৫(পরবর্তী দিন) |
আবার আপনারা সীতাকুণ্ড থেকে ঢাকাতেও ট্রেনের মাধ্যমে খুব সহজে যাতায়াত করতে
পারবেন। আপনারা চাইলে কাউন্টার ছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে এর
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারেন অথবা ট্রেন সংক্রান্ত
যাবতীয় তথ্য দেখতে পারেন। সীতাকুণ্ড থেকে ঢাকা আসার ট্রেনের সময়সূচী
সম্পর্কে জেনে নিন।
ট্রেনের নাম | সীতাকুন্ড থেকে ছাড়ার সময় | ঢাকা পৌছানোর সময় |
---|---|---|
মেইল ট্রেন(৭৪৬) | রাত ১১ঃ০০ | সকাল ৬ঃ৪৫(পরবর্তী দিন) |
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড রুটে যে সকল ট্রেন চলাচল করে
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড রুটে বেশ কিছু ট্রেন চলাচল করে। তবে এই
ট্রেনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী ট্রেন হল মেইল
ট্রেন। কমলাপুর স্টেশন থেকে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশ্যে রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে ছেড়ে
যায় এবং পরবর্তী দিন সকাল ৭ঃ২৫ মিনিটে পৌঁছায়। আবার সীতাকুণ্ড থেকে
ঢাকার উদ্দেশ্যে রাত এগারোটায় রওনা হয় এবং পরবর্তী দিন সকাল ৬ঃ৪৫ এ ঢাকা
পৌঁছায়। এই ট্রেনে ভ্রমণ করা খুবই সুবিধা জনক।
এই ট্রেনটি সপ্তাহের সাত দিনই ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড রুটে এবং সীতাকুন্ডু থেকে
ঢাকা রুটে চলাচল করে। তাই আপনারা চাইলে সপ্তাহের যে কোনদিনই এই
ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডে চলাচল করতে পারবেন। সাপ্তাহিক বন্ধ
না থাকায় এই ট্রেনে প্রতিদিনই শত শত যাত্রী চলাচল করে। তাই এ ট্রেনটি
অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় খুবই জনপ্রিয়। আপনারা যদি খুবই আরামদায়কভাবে
এবং সহজলভ্য ভাবে চলাচল করতে চান তাহলে এই ট্রেনটি হবে আপনার জন্য অন্যতম একটি
মাধ্যম।
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড সকল ট্রেনের আপডেট সময়সূচী
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড রুটে ট্রেনের সময়সূচী বিভিন্ন কারণে মাঝেমধ্যে
পরিবর্তিত হতে পারে। তাই অবশ্যই যাত্রা করার পূর্বে ট্রেনের
আপডেট সময়সূচী সম্পর্কে জেনে নিবেন। সাধারণত সময়সূচী
পরিবর্তিত হয় রেলপথের উন্নয়ন রক্ষণাবেক্ষণ বা বিভিন্ন বিশেষ পরিস্থিতির
কারণে। সাধারণত ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড রুটে মেইল ট্রেন চলাচল
করে। এই ট্রেনটি দিনে একবার ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে
যায় আবার সীতাকুন্ডু থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এই ট্রেনটি সাধারণত রাতের বেলা চলাচল করে। ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডের
উদ্দেশ্যে এই ট্রেনটি রাত ১০ বেজে ৩০ মিনিটে রওনা হয় এবং পরের দিন সকাল
৭:২৫ মিনিটে সীতাকুঞ্জে পৌঁছায়। আবার ঠিক একই ভাবে ট্রেনটির সীতাকুণ্ড
থেকে রাত ১১ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং পরবর্তী দিন সকাল ৬টা ৪৫
মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়। এই ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটি না থাকায় সাত দিনই
চলাচল করে। তাই যাত্রীদের জন্য এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড
যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম।
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড মেইল ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ রোড যেখানে প্রতিনিয়ত যাত্রীরা
চলাচল করেন। যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে
কর্তৃক মেইল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ট্রেনে যাতায়াত করা
খুবই সাশ্রয়ী এবং সুবিধা জনক।তাই আপনারা প্রতিনিয়ত যাতায়াতের জন্য এবং
নিরাপদে যাতায়াতের জন্য অবশ্যই মেইল ট্রেনে যাতায়াত করতে পারেন।এই
ট্রেনের টিকিট আপনারা অনলাইন বা অফলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন।
এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং
পরের দিন সকাল সাতটা পঁচিশে সীতাকুণ্ডে পৌঁছায়। আবার সীতাকুণ্ড হতে রাত
১১ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং পরের দিন সকাল ৬:৪৫ এ ঢাকায়
পৌঁছায়। এই ট্রেনে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আসন বিন্যাস, যেমনঃ এসি এসি
বার্থ, শোভন চেয়ার, শোভন ইত্যাদি। যাত্রীরা নিজের সুবিধামতো আসন
সিলেক্ট করতে পারবেন। তারপর নিজের সুবিধামতো স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে
পারবেন।
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের টিকিট ভাড়া
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য যাত্রীদের সুবিধার্থে মেইল ট্রেন চালু করেছে
বাংলাদেশ রেলওয়ে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আসন বিন্যাস। যা
যাত্রীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। নিজের পছন্দ অনুযায়ী যাত্রীরা ট্রেনের
টিকিট ক্রয় করতে পারেন। আসন বিন্যাস ভেদে এর ভাড়া বিভিন্ন ধরনের
হয়ে থাকে। তাই যাত্রার পূর্বে অবশ্যই ভাড়াগুলো একবার দেখে নিতে
পারেন।
ট্রেনের আসনের নাম | ভাড়া |
---|---|
শোভন | ২৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৪৫ টাকা |
এসি | ৭৮৮ টাকা |
এসি বার্থ | ১১৭৯ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৬৫৬ টাকা |
আসন বিন্যাস ভেদে শোভন টিকিটের মূল্য সব থেকে কম। যারা কম টাকায়
যাতায়াত করতে চান তারা অবশ্যই শোভন আসনে টিকিট কাটতে পারেন। শোভন আসনে
টিকিট মূল্য মাত্র ২৮৫ টাকা। এরপর যারা সিঙ্গেল চেয়ারে বসে যেতে পছন্দ
করেন, সাধ্যের মধ্যে একটু ভালোভাবে যেতে চান, তারা মাত্র ৩৪৫ টাকা ব্যয়
করে শোভন চেয়ারে টিকিট কাটতে পারেন।এছাড়াও যারা আনন্দ ভ্রমণ পছন্দ করেন
এবং গরমে একটু শান্তি খুঁজতে চান তারা এসিতে মাত্র ৭৮৮ টাকা খরচ করে টিকেট
ক্রয় করতে পারেন।
যারা আরামের পাশাপাশি গোপনীয়তার সাথে অথবা একাকী একটু আলাদাভাবে ভ্রমণ
করতে চান তারা এসে বার্থডে মাত্র ১১৭৯ টাকা খরচ করে টিকিট করতে
পারেন। এছাড়াও স্নিগ্ধ শ্রেণীর টিকিটের মূল্য খুবই কম ধরা হয়েছে মাত্র
৬৫৬ টাকা।আবার প্রথম শ্রেণীর বার্থ এর ভজন ভাড়া ধরা হয়েছে
৪৬০টাকা। তাই এর মধ্যে থেকে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী টিকিট বুকিং করে
যাত্রা শুরু করুন।
অনলাইনে ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের টিকিট বুকিং পদ্ধতি
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড ট্রেন ভ্রমণের জন্য এখন আর স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়
না। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (eticket.railway.gov.bd) আপনি ঘরে বসেই সহজে টিকিট বুক করতে পারেন। এজন্য প্রথমে একটি
একাউন্ট তৈরি করে লগইন করতে হবে, এরপর যাত্রার তারিখ, ট্রেনের নাম এবং সিট
ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে। অবশ্যই যাত্রার তারিখ এবং আপনার পছন্দ
অনুযায়ী সিট ক্যাটাগরি ভালোভাবে দেখে নিবেন।
তারপর সেটা অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে। অনলাইনে পেমেন্ট করা যায় বিকাশ,
নগদ, রকেট কিংবা ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে। বুকিং সফল হলে আপনার ই-মেইল বা অ্যাপে
টিকিট কনফার্মেশন চলে আসবে, যা প্রিন্ট করে বা মোবাইলেই দেখিয়ে ভ্রমণ করা যাবে।
এই অনলাইন টিকিট সিস্টেম সময় ও ঝামেলা দুটোই কমিয়ে দেয়, ফলে যাত্রীরা
আরামদায়কভাবে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন।
ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডর মোট দূরত্ব কত
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের মোট দূরত্ব প্রায়
২৮০ কিলোমিটার। সড়কপথে এই
দূরত্ব অতিক্রম করতে সাধারণত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা সময় লাগে, তবে যানজট ও রাস্তার
অবস্থা ভেদে সময় কিছুটা কমবেশি হতে পারে। ট্রেনপথে ভ্রমণ করলে দূরত্ব একই
থাকলেও যাত্রা তুলনামূলক আরামদায়ক হয় এবং সময় লাগে প্রায় ৫ থেকে ৬
ঘণ্টা। তবে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের স্টপেজ থাকার কারণে বা অন্য কোন
সমস্যার কারণে এই সময়ের থেকেও বেশি সময় লাগতে পারে।
তাই অবশ্যই সময় হাতে নিয়ে বের হবেন। সীতাকুণ্ড পর্যটন, শিল্প এলাকা এবং
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য অনেক জনপ্রিয় একটি গন্তব্য, তাই ভ্রমণকারীরা এই
দূরত্ব অতিক্রম করে সহজেই সেখানে পৌঁছাতে পারেন। ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময়
দূরত্ব ও যাত্রার সময় সম্পর্কে ধারণা থাকলে সফর অনেক বেশি সুবিধাজনক
হয়। তাই ভ্রমণের পূর্বে অবশ্যই আপনার ট্রেনের সিডিউল বন্ধ আছে কিনা এবং
আপনার টিকিট কনফার্ম হয়েছে কিনা সবকিছু বিস্তারিত জেনে তারপর যাত্রা শুরু
করুন।
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেন ভ্রমণের সুবিধা
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী জানলে ট্রেন ভ্রমণ হবে যাত্রীদের জন্য
একটি আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী ভ্রমন। ট্রেনে যাত্রার সময় সড়কপথের মতো কোন যানজটের
ঝামেলা নেই, ফলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম
হওয়ায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটক সবাই সহজেই ভ্রমণ করতে
পারেন। আবার যারা আরামদায়ক ভ্রমণ চাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ
সুবিধা। আবার যারা প্রাইভেসি বজায় রেখে যাতায়াত করতে চান তাদের জন্য
রয়েছে বিশেষ আসন।
ট্রেনের প্রশস্ত আসন ও আরামদায়ক পরিবেশ দীর্ঘ যাত্রাকে অনেকটা স্বস্তিদায়ক
করে তোলে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, জানালার পাশের আসন থেকে দেশের প্রাকৃতিক
দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ, যা ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে। তাই যারা নিরাপদ,
সাশ্রয়ী এবং ঝামেলাহীন ভ্রমণ খুঁজছেন, তাদের জন্য ঢাকা টু সীতাকুণ্ড ট্রেন
ভ্রমণ নিঃসন্দেহে একটি দারুণ বিকল্প। তাই আপনারা ঝামেলাহীন ভ্রমণের জন্য
নিঃসন্দেহে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন।
নিজের অভিজ্ঞতা ও সাশ্রয়ী ভ্রমণের জন্য পরামর্শ
আমার অভিজ্ঞতায় ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড ট্রেন ভ্রমণ সত্যিই আরামদায়ক এবং
সাশ্রয়ী একটি যাত্রা। অনলাইনে অগ্রিম টিকিট কেটে রাখলে শেষ মুহূর্তের ঝামেলা
এড়ানো যায়, আর এতে ভ্রমণ আরও স্বস্তিদায়ক হয়। যাত্রার সময় জানালার পাশের
আসন বেছে নিলে প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করা যায়, যা ভ্রমণকে
আনন্দময় করে তোলে। সাশ্রয়ী ভ্রমণের জন্য সবসময় ইন্টারসিটি ট্রেন বেছে
নেওয়া ভালো, কারণ এগুলো সময়মতো ছাড়ে এবং ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম।
সঙ্গে হালকা খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখলে যাত্রার সময় অতিরিক্ত খরচও
বাঁচানো সম্ভব। অবশ্যই বাইরের খাবার পরিহার করার চেষ্টা করবেন। ট্রেনে
যাত্রা করার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে পৌঁছানো জরুরী। কারণ
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রেন নির্দিষ্ট টাইমে যাত্রা শুরু করে। তাই
পরিকল্পনা অনুযায়ী টিকিট বুকিং, আসন নির্বাচন ও খরচ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে
আপনি ঢাকা টু সীতাকুণ্ড ট্রেন ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য ও বাজেট-ফ্রেন্ডলি করতে
পারেন।
সমসাময়িক প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ সীতাকুন্ডে কোন কোন ট্রেন থামে?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ডে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে
মেইল ট্রেন। তবে সীতাকুণ্ড স্টেশনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত অনেকগুলো ট্রেন
থামেন। যেমনঃ সুবর্ণ এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা
এক্সপ্রেস, উদয়ন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, তূর্ণা
এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, মহানগর
প্রভাতী বা গোধূলি এক্সপ্রেস।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য কোন ট্রেন আছে?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য সবথেকে সুবিধা জনক
ট্রেন হলো মেইল ট্রেন। এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাত ১১টার সময়
সীতাকুণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
প্রশ্নঃ মেইল ট্রেনের কি কি আসন রয়েছে?
উত্তরঃ মেইল ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের আসন রয়েছে।
যেমনঃ শোভন, শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা, এসি, এসি
বার্থ ইত্যাদি। আপনারা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী আসন পছন্দ করে যাত্রা
করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য কি কি আসন শ্রেণী
রয়েছে?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের আসন
রয়েছে। যেমনঃ শোভন, শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা,
এসি, এসি বার্থ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের টিকিটের দাম কত?
উত্তরঃ যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়
আসন বিন্যাসের উপরে। অর্থাৎ আপনি যে আসনে ভ্রমণ করতে চান সেই আসন
অনুযায়ী টিকিটের দাম নির্ধারিত করা হয়। যেমনঃ শোভন ২৮৫ টাকা, শোভন
চেয়ার ৩৪৫টাকা, স্নিগ্ধা ৬৫৬টাকা, এসি ৭৮৮টাকা, এসি বার্থ
১১৭৯টাকা।
প্রশ্নঃ সীতাকুন্ড থেকে ঢাকা যেতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ সীতাকুন্ড থেকে ঢাকা যেতে মোটামুটি ৭ ঘন্টা সময় লাগে।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য ট্রেনের সময়সূচী?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যাওয়ার জন্য মেইল ট্রেন রাত ১০ঃ৩০
কমলাপুর স্টেশন থেকে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং পরবর্তী দিন সকাল
৭ঃ২৫ এ সীতাকুণ্ডে পৌঁছায়।
প্রশ্নঃ ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী কি পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী বিভিন্ন কারণে
পরিবর্তন হতে পারে। যেমন কখনো কখনো রক্ষণাবেক্ষণ বা বিভিন্ন জায়গা
মেরামতের জন্য ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তিত হয়।
প্রশ্নঃ ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটবো?
উত্তরঃ আপনারা চাইলে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে ২০ নম্বর
কাউন্টারে গিয়ে ট্রেনের টিকিট সরাসরি ক্রয় করতে পারেন।অথবা আপনারা
যদি স্টেশনের ঝামেলা পরিহার করতে চান তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট
ক্রয় করতে পারেন।এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
(eticket.railway.gov.bd) এ গিয়ে আপনার ভ্রমণের তারিখ, গন্তব্য
স্থান, আসন সিলেক্ট করে বিকাশ, রকেট, নগদ বা কার্ডের মাধ্যমে
পেমেন্ট করে টিকিট ক্রয় করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যেতে কত সময় লাগতে পারে?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড যেতে মোটামুটি ৭ ঘন্টা
সময় লাগে।
লেখকের মন্তব্যঃ ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু সীতাকুন্ড ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। যে
মুহূর্তে আমি ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী জেনে নিলাম, মনে হলো
ভ্রমণের পরিকল্পনা নিজের হাতে পাওয়ার মতো অনুভূতি। যেহেতু টেনের
সময়সূচি এবং টিকিট ভাড়া পূবে থেকে জানা ছিল তাই সবকিছু আরও সহজ হলো।
সময় অনুযায়ী ট্রেনগুলো নির্ভুলভাবে কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ১০ঃ৩০-এ ছেড়ে
যায় এবং সীতাকুণ্ড পৌঁছাতে সময় লাগে আনুমানিক ৭ ঘণ্টা সময় লাগে।এছাড়াও,
ভাড়া ২৮৫ থেকে ১১৭৯ টাকা পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে পাওয়া যায়। এই
তথ্যগুলো আপনি আগে থেকেই জানলে আরামদায়ক ও সময়মতো যাত্রার পরিকল্পনা করতে
পারবেন।পরবর্তী ভাগে যাত্রাপথের প্রতিটি ধাপের বিস্তারিত জানতে আমার সাথে
থাকুন।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url